11.4 C
London
October 5, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

কেমি বেডন্যাকের ঘোষণাঃ নির্বাচনে জিতলে যুক্তরাজ্যকে ইসিএইচআর থেকে বের করা হবে

কেমি বেডন্যাক শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, আগামী নির্বাচনে তার দল ক্ষমতায় এলে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন (ECHR) থেকে বের করে আনা হবে। বেডন্যাক বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হলো দেশের সীমান্ত, প্রবীণ এবং নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান আইনজীবীর তৈরিকৃত পর্যালোচনায় উল্লেখ রয়েছে যে ECHR-এ থাকা কিছু বিধান যুক্তরাজ্যের অভিবাসন সংস্কার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে। পার্টির শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ধরনের পরামর্শ পেয়ে বেডন্যাক এই পদক্ষেপকে ন্যায্য ও প্রয়োজ্য বলে মন্তব্য় করেছেন।

গত বছর বেডন্যাক নিজে বলেছিলেন যে ECHR-এ থেকে বের হওয়া অভিবাসন ইস্যুর “রূপালি বুলেট” হবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক বক্তব্যে তিনি স্বীকার করেছেন যে প্র্যাকটিক্যাল সীমাবদ্ধতা ও নীতিগত প্রয়োজনে বর্তমানে সেই অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে এবং তাই তিনি কনভেনশনের বাইরে যাওয়ার নীতিকে সমর্থন করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি পার্টির ভেতরকার চাপ এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজনের আবর্তে নেওয়া কৌশলগত পলিসি বলে দেখা হচ্ছে।

লেবার পার্টি কনজার্ভেটিভ দলের তীব্রভাবে সমালোচনা
করেছে; তারা বলেছে বেডন্যাক এমনই একটি নীতি গ্রহণ করেছেন যার বিরুদ্ধে তিনি আগেও যুক্তি দিয়েছিলেন। লেবারের মত, কনজারভেটিভ নেতা তার নিজের দলের ভেতরের চাপের কাছে দুর্বল হয়ে পড়েছেন এবং মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে এমন রূপান্তর দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কনজার্ভেটিভ দলের এই নীতির বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে ECHR-এ থেকে বের হলে বিচারব্যবস্থা ও মানবাধিকার রক্ষণে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা দুর্বল হবে।

ম্যানচেস্টারে কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনের প্রাক্কালে এ ঘোষণা দলের অবস্থানকে স্থির করার উদ্দেশ্যে এসেছে। পার্টির অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও অভিবাসন-সংক্রান্ত চাপ মোকাবেলায় কেমি বেডন্যাক এই নীতিকে সামনে এনে রক্ষণশীল ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন—বিশ্লেষকরা বলছেন এটি একটি রাজনৈতিক সঙ্কেতও বটে।

আইনি ও কূটনৈতিক মাত্রায় এই সিদ্ধান্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে—ECHR থেকে বেরিয়ে গেলে আন্তর্জাতিক চুক্তি ও বিধানগুলোর প্রভাব, কোর্টের বিরুদ্ধে ঢাকা-আচরণ, এবং ইউরোপীয় আদালতের রায় মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করান যে বাস্তবে এই নীতিকে কার্যকর করতে গেলে দীর্ঘ ও জটিল আইনি প্রক্রিয়া ও কূটনৈতিক আলোচনা প্রয়োজন হবে, যা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি থেকে বাস্তবতায় রূপান্তরিত করা কঠিন হতে পারে।

সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে
০৫ অক্টোবর ২০২৫

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যে বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন এক তরুণী

নিউজ ডেস্ক

জলবায়ু সম্মেলনে যুক্তরাজ্য সরকারের বহর নিয়ে নতুন সমালোচনা

যুক্তরাজ্যের সর্বনিম্ন গতিসীমা আইনে পরিবর্তন নিয়ে চলছে আলোচনা

নিউজ ডেস্ক