10 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

কেয়ার ওয়ার্কারদের পরিবার সাথে না আনতে না দেয়া অমানবিকঃদাতব্য সংস্থা

বিদেশীদের ওয়ার্কার পারমিট ভিসার ক্র্যাকডাউনের বিষয় খুব গভীরভাবে পর্যালোচনা করছে যুক্তরাজ্য সরকার।ডাউনিং স্ট্রিট সোমবার জানায়, এই ক্র্যাকডাউনের সময়েও শত শত নতুন কেয়ার হোমকে বিদেশ থেকে স্পনসর করে কেয়ার ওয়ার্কার আনার জন্য হোম অফিস কর্তৃক লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

নতুন আইন অনুযায়ী কেয়ার ওয়ার্কাররা তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে যুক্তরাজ্যে আনতে পারবেন না। তাছাড়া কেয়ার হোম বা কেয়ার প্রোভাইডারদের কোয়ালিটি কমিশনের (সিকিউসি) নিবন্ধন নিতে হবে। যা কার্যকর হবে ১১ মার্চ ২০২৪ হতে। সরকার আশা করে এই ব্যবস্থাগুলি নেয়ার ফলে ব্রিটেনের অভিবাসনের রেকর্ড স্তর হ্রাস পাবে।

তবে উদ্বেগের মূল কারণ শত শত প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পেয়েছে যারা জাল কাগজপত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পেয়েছে যাদের কেয়ার হোমের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। কমপক্ষে ২৪৮টির বেশি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে যাদের সিকিউসি কর্তৃক কখনও রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয় নাই তথাপি সিকিউসি এইসব প্রতিষ্ঠানকে পরিদর্শনও করেনি, যা পর্যবেক্ষকদের তদন্তে উঠে আসে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র বলেন, কেয়ার ভিসার ক্র্যাকডাউন গভীর পর্যালোচনাধীন। আগামী সপ্তাহ হতে মাইগ্রেশন সিস্টেমের অপব্যবহার রোধে শক্তিশালী পরিবর্তন কার্যকর হবে। এই ব্যবস্থাগুলো কেয়ার ওয়ার্কারদের স্বতন্ত্রভাবে কাজ কর‍তে উৎসাহিত করবে। প্রত্যেক কেয়ার হোম যখন কেয়ার কোয়ালিটি কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত হবে তখন আশা করা যায় প্রত্যেক কেয়ার হোম যথেষ্ট পেশাদারিত্ব পালন করবে।

তিনি আরও যোগ করেন, ” আমরা ভিসা ইমিগ্রেশন সিস্টেমের অপব্যবহারের উপর ক্র্যাকডাউন করার দৃঢ় প্রত্যয় রাখি। তাছাড়া অনেক বিষয়ের উপর নজর দেয়া প্রয়োজন এবং যুক্তরাজ্যের অতিরিক্ত অভিবাসন রোধে এই বিষয়গুলির উপর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।”

গত সপ্তাহে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ১,৪৬,৪৭৭ জন কেয়ার ওয়ার্কার যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন কাজের ভিসা নিয়ে। কিন্তু তাদের ডিপেন্ডেন্ট তাদের সাথে যুক্ত হওয়ায় সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৩,৪৯,৯২৯ জন। তথ্যানুযায়ী জানা যায়, যা ২০২২ সালের হিসাবে ১,৫৭,৬৩৬ জন এবং ২০২১ সালে ৬৩,২৯১ জন ছিল।

দাতব্য সংস্থাগুলি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে স্বাস্থ্য খাতে যে দূর্দশা দেখা যাচ্ছে তার জন্য সরকার দায়ী। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে স্বল্প বেতন অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণের ব্যবস্থা উন্মুক্ত করে রেখেছিল।

উল্লেখ্য যে, গত বছর সরকার ঘোষণা করেছিল যে তারা আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিবাসন হ্রাস করবে। সেই আলোকে কেয়ার ওয়ার্কারদের পরিবার আনা বন্ধ করা হয়। যদিও অনেক দাতব্য সংস্থার মতে এটা অনেকটা অমানবিক যে তারা তাদের পরিবারের সাথে অবস্থান করতে পারবে না।
সব মিলিয়ে কেয়ার সেক্টরে তুমুল ধাক্কা লাগবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রঃ দ্য স্ট্যান্ডার্ড

এম.কে
০৫ মার্চ ২০২৪

আরো পড়ুন

ইইউ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত

লন্ডনে বাংলাদেশ ভবন ক্রয় ঘিরে ধূম্রজাল, প্রশ্নের তীরে বিদ্ধ সাইদা মুনা

১০টি কারণে ব্রিটিশদের জীবনযাত্রা ভয়াবহ হয়ে উঠবে অক্টোবরে!

অনলাইন ডেস্ক