যুক্তরাজ্যের সরকার বিদেশ হতে দাঁতের ডাক্তার আনার পরিকল্পনা করছে। তবে সেক্ষেত্রে সেইসব ভিনদেশী ডাক্তারদের শিক্ষা এবং দক্ষতা যাচাই করার জন্য পরীক্ষা না নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
এই প্রস্তাবটি মূলত করা হয়েছে তিন মাসের পরিকল্পনা সামনে রেখে যাতে এনএইচএদের দন্ত বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তারদের ঘাটতি মোকাবেলা সম্ভব হয়। বহু সংখ্যক দন্ত চিকিৎসককে আকৃষ্ট করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
যুক্তরাজ্যের দন্ত চিকিৎসকরা নিজেদের দেশ ত্যাগ করে অন্যান্য দেশে স্থায়ী হতে যাচ্ছেন বেতন,ভাতা ও নানা সুবিধার কারণে। দন্তচিকিৎসকদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করার জন্য সরকারকে দায়ী করেছে ব্রিটিশ ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন।
বর্তমান নিয়মানুযায়ী বিদেশী ডেন্টিস্টদের যুক্তরাজ্যে কাজ শুরু করার আগে একটি পরীক্ষা পাস করতে হয়। কিন্তু নতুন নিয়মে ধারণা করা যাচ্ছে জেনারেল ডেন্টাল কাউন্সিল (জিডিসি) কোনো পরীক্ষা ছাড়াই অস্থায়ীভাবে বিদেশী দন্ত চিকিৎসকদের নিবন্ধন করার ক্ষমতা প্রদান করবে।
জিডিসির নির্বাহী পরিচালক স্টিফান জার্নিয়াউস্কি বলেন,
“আমাদের দ্রুত কাজ করতে হবে তবে কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হবার জন্য কখনও কখনও সঠিক প্ল্যানিং
প্রয়োজন। ”
তবে ব্রিটিশ ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএ) চেয়ারম্যান এডি ক্রাউচ বলেছেন, এনএইচএসের দন্ত চিকিৎসা নিয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকারের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড এনএইচএস ডেন্টাল রিকভারি পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এই মাসের শুরুর দিকে ঘোষণা করেছে। তাছাড়া বিশ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত দন্ত চিকিৎসকদের জন্য বোনাসের পরিকল্পনা করেছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, তথাপি সিস্টেমের বিভিন্ন সমস্যার কারণেই ডেন্টিস্টদের হারাতে হচ্ছে। তাই সরকারের উচিত সমস্যা মোকাবেলা করা। তা নাহলে বিদেশী ডেন্টিস্টরাও এসে দীর্ঘস্থায়ী হবে না। এটা ঠিক এমন হবে যেমন একটা ছিদ্রযুক্ত বালতিতে পানি ভরার মতো অবস্থা।
উল্লেখ্য যে যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন হতেই দন্ত চিকিৎসা নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করছে এনএইচএস। একদিকে রোগীদের চাপ অন্যদিকে দন্ত চিকিৎসকদের ঘাটতি মিলিয়ে চাপে রয়েছে সরকার।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪