প্রপার্টি কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়াকে বলা হয় মর্গেজ। প্রপার্টি কেনার পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে মর্গেজটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই মর্গেজ পাওয়ার উপর নির্ভর করছে আপনি কী ধরনের প্রপার্টি এবং কত দামের প্রপার্টি কিনতে পারবেন।
বিলেতে কোম্পানি ডিরেক্টরগণ তাদের কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত সেলারী এবং ডিভিডেন্ড এর মাধ্যমে মর্গেজ নিয়ে প্রপার্টি কিনতে পারবেন।
কোম্পানি গঠন করে বাই টু লেট প্রপার্টি কিনতে চাইলে, কোম্পানি গঠন এর সময় নির্দিষ্ট কিছু SIC কোড মেনে কোম্পানি গঠন করতে হবে।
মর্গেজ এফোরডেবিলিটি
মর্গেজ এফোরডেবিলিটি ক্যালকুলেশন করা হয়, প্রপার্টি বায়ার এর ইনকাম এবং ক্রেডিট কমিটমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে। বেশিরভাগ মর্গেজ ল্যান্ডার একজন কোম্পানির ডাইরেক্টর এর সেলারী এবং ডিভিডেন্ডকে ইনকাম হিসেবে কাউন্ট করে। তবে কিছু স্পেশালিষ্ট মর্গেজ ল্যান্ডার নেট প্রফিট এর শেয়ারকে ইনকাম হিসেবে কাউন্ট করে থাকে।
ডকুমেন্টেসন
কোম্পানির ডাইরেক্টর হিসেবে মর্গেজের আবেদন করার আগে কী কী ডকুমেন্ট আপনার সংগ্রহে রাখা উচিৎ।
পরিচয়পত্র: প্রথমেই দেখে নিন আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ আছে কিনা। প্রয়োজনে রিনিউ (নবায়ন) করে নিন। আপনার যদি বৃটেনে জন্ম হয়ে থাকে তাহলে পাসপোর্টের পরিবর্তে ফুল ড্রাইভিং লাইসেন্স আইডি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যদি বৈধ ভিসা নিয়ে এদেশে থাকেন, তাহলে মর্গেজের আবেদন দাখিলের সময় ভিসার কাগজ বা কার্ড সাথে থাকতে হবে।
প্রুফ অফ এড্রেস: আপনার ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে কাউন্সিল ট্যাক্স বিল, ইউটিলিটি বিল অথবা ব্যাংকের স্টেটমেন্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রুফ অফ ইনকাম: কোনো কোম্পানির ডাইরেক্টর হয়ে থাকলে, নূন্যতম দুই বছরের ট্যাক্স রিটার্ন এবং কোম্পানি একাউন্ট সংগ্রহ রাখতে হবে। যদি কোম্পানির ডাইরেক্টরশীপের মেয়াদ যদি পূর্ণ দুই বছর না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি এক বছরের কোম্পানি একাউন্ট এবং ট্যাক্স রিটার্নের উপর ভিত্তি করেও মর্গেজ আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে স্পেশালিষ্ট মর্গেজ লেন্ডার এঁর প্রয়োজন হবে।
ট্যাক্স রিটার্নের কাগজ বলতে, আপনাকে সর্বশেষ দুই বছরের SA302 এবং ট্যাক্স ইয়ার ওভারভিউ সংগ্রহে রাখতে হবে। ট্যাক্স রিটার্নের জন্য যদি আপনার কোনো একাউন্টেন্ট থাকে, তাহলে একাউন্টেন্ট কোম্পানির একটি ভিজিটিং কার্ড আপনার সংগ্রহে রাখুন।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট: যে ব্যাংক একাউন্টে আপনার কোম্পানির বেতন আসে এবং যে একাউন্টে আপনার নিয়মিত লেনদেন হয়, সেই একাউন্টের সর্বশেষ তিন মাসের স্টেটমেন্ট সাথে রাখুন। এছারাও কোম্পানির ব্যাংক একাউন্টের সর্বশেষ তিন মাসের স্টেটমেন্ট সাথে রাখুন।
ডিপোজিট স্টেটমেন্ট: আপনার ডিপোজিট এর টাকা যে ব্যাংক একাউন্টে রাখেন, তার ছয় মাসের স্টেটমেন্টস সংগ্রহে রাখুন। আপনি যদি আপনার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন অথবা অন্য কারো কাছ থেকে ডিপোজিটের টাকা গিফট হিসেবে নেন, তাহলে দাতাদের কাছ থেকে তাঁর আইডি, গিফট ডিক্লারেশন স্টেটমেন্ট এবং তাঁর ব্যাংকের স্টেটমেন্টস এর কপি সংগ্রহে রাখুন।
ক্রেডিট রিপোর্ট: যেকোনো ব্যাংকে মর্গেজের এপ্লিকেশন করলে তারা প্রথমেই আপনার ক্রেডিট চেক করবে। সে জন্য ভালো হয়, যদি আপনি নিজেই আপনার ক্রেডিট রিপোর্ট আগে দেখে নিন। আপনার ক্রেডিট রিপোর্টে যদি কোন ভুল তথ্য থাকে, তাহলে তা আগে থেকেই সংশোধন করে নিতে পারবেন।
ইলেক্ট্ররাল রোল: এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার নাম স্থানীয় কাউন্সিলের ভোটার তালিকায় আপ-টু-ডেট রাখবেন। তাহলে ব্যাংক এর ক্রেডিট চেক করার সময় তারা খুব সহজেই আপনার বর্তমান ঠিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে।
মর্গেজ সংক্রান্ত ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের ইমেইল অথবা টেলিফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা যাবে।
EMAIL: info@benecofinance.co.uk
PHONE: +4402080502478