0.6 C
London
November 21, 2024
TV3 BANGLA
বিনোদনশীর্ষ খবর

ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিয়ে অবৈধ: পিবিআই

ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার মধ্যে বিয়ে বৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন – পিবিআই ।

 

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মিজানুর রহমান।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স দেওয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র জালজালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নাসিরকে বিয়ের আগে রাকিবকে ডিভোর্স দেননি তামিমা। তাই নাসির-তামিমার বিয়ে আইনত অবৈধ।

 

এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি রেস্তোঁরায় তামিমা সুলতানা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

 

এরপর ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে তামিমা সুলতানার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত তখন মি. হাসানের জবানবন্দী গ্রহণ করে বিষয়টি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।

 

মামলা দায়ের হবার পর নাসির হোসেন এবং তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে রাকিব হাসানের অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ দাবি করেছিলেন।

 

সেই সংবাদ সম্মেলনে নাসির হোসেন বলেছিলেন, নিয়ম অনুযায়ী তামিমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এবং তামিমার বিয়ে ও সন্তান সম্পর্কে সব কিছু জেনেই তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

আমরা যা করেছি ‘লিগ্যাল ওয়ে’তে, বেআইনি কিছু করিনি। আমরা যথেষ্ট পরিণত, সুতরাং বুঝে শুনে আইনগতভাবে কাজ করেছি, বলেছিলেন মি. হোসেন।

 

গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তামিমাকে নিয়ে ভুল এবং ‘উল্টাপাল্টা’ কিছু প্রচার করা হলে ‘আইনগত ব্যবস্থা’ নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন নাসির হোসেন।

 

বিষয়টি নিয়ে সেসময় বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।

 

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান মি. মজুমদার বলেছেন, তদন্তে দেখা গেছে আইনগত বিধিব্যবস্থা অনুযায়ী তামিমা সুলতানার ডিভোর্স হবার আগেই নাসির হোসেন তাকে বিয়ে করেছেন।

 

তামিমা সুলতানা ও নাসির হোসেন তালাকের যে সময় এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন, তদন্তে সেসব তথ্যে ‘গড়মিল’ দেখা গেছে বলে তিনি বলেছেন।

 

পিবিআই প্রধান বলেন, এক সময় রাকিব হাসানের স্ত্রী ছিলেন তামিমা, কিন্ত নাসির হোসেন তামিমাকে আবারও বিয়ে করেছেন। আগের বিয়ের ডিভোর্স হয়েছে কি-না তা আইনগতভাবে যাচাই-বাছাই করার কথা তার। তামিমা আমাদের কাছে দাবি করেছেন তিনি রাকিবকে ডিভোর্স দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন আসতে পারে রাকিব কেন মামলা করলেন?

 

“তামিমা তালাকপ্রাপ্তা হয়েছেন নাকি হননি এ বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে আমরা দেখলাম তালাক হতে গেলে তিনটি শর্ত লাগে। প্রথমত: হলো সংশ্লিষ্ট কাজীকে উপস্থাপন করা; দ্বিতীয়ত: যিনি তালাকপ্রাপ্ত হবেন অথবা যাকে তালাক দেয়া হবে তার বাসায় একটি নোটিশ পাঠানো এবং তৃতীয়ত: যিনি তালাকপ্রাপ্ত হবেন তার স্থায়ী ঠিকানার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যামের মাধ্যমে একটি নোটিশ পাঠাতে হবে।“

 

“তামিমা-রাকিবের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়তটিতে দাবি করা হয়েছে রাকিব হাসানের বাসায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যে তারিখে চিঠিটি রাকিব হাসানের বাসায় প্রসেস করা হয়েছে সেই সময় ওই বাসায় রাকিব থাকতেন না। অর্থাৎ চিঠি প্রসেসের ছয় মাস পূর্ব থেকে রাকিব অন্য বাসায় ছিলেন। যেই তারিখে চিঠিটি দেখানো হয়েছে সেই সময়ের ঠিকানাটি ভুল ছিল। এই প্রসেসটি মানা হয়নি এবং তারা সঠিক কথা বলছেন না।“

 

“নাসির ও তামিমা ডাকযোগে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে যে চিঠিটি দেখিয়েছেন তা সঠিক দেখাননি। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমাদেরকে বলেছেন তিনি এমন কোনো চিঠি পাননি। তালাক হতে গেলে যে প্রসেস মানা দরকার তার কোনোটিই মানা হয়নি, সুতরাং নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ।“

 

পিবিআই প্রধান আরও বলেন, তামিমা যে পাসপোর্ট ব্যবহার করেন তাতে তালাক দেখানো হয়েছে ২০১৬ সালে। কিন্তু ২০১৮ সালে পাসপোর্ট নবায়নের সময় স্বামীর নাম রাকিব হাসান দেওয়া হয়। আমরা বলতে পারি বিয়ে চলমান অবস্থায় তালাক দেখানো হয়েছে।   নাসিরের উচিত ছিল তামিমা যে তালাকনামাটি দেখিয়েছেন তা সঠিক কি-না সেটি যাচাই করা।

 

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
সূত্র: বিবিসি বাংলা

আরো পড়ুন

আশ্রয়প্রার্থীদের বয়স যাচাইয়ের আইন করছে যুক্তরাজ্য

নারীদের স্থান ঘর, তাদের আবারও ঘরে ফিরিয়ে নিতে হবে : চীন

বেনিফিট আবেদন নিয়েও কড়া হতে যাচ্ছে সরকার