গ্রেট ব্রিটেনের খাবারের দোকানগুলো ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ক্রিসমাস পার করেছে। তথ্যানুযায়ী জানা যায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মোট খুচরা বিক্রির পরিমাণ ০.৩% হ্রাস পেয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মাসে সুপারমার্কেট ও অন্যান্য খাবারের দোকানগুলোতে খুচরা বিক্রির হ্রাস ঘটেছে।
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ONS) জানায়, ডিসেম্বরে বিক্রির পরিমাণ মাসের হিসেবে ০.৩% কমেছে। যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রির গুরুত্বপূর্ণ “গোল্ডেন কোয়ার্টার” এই বছর দুর্বল ছিল। অর্থনীতিবিদরা ০.৪% প্রবৃদ্ধি আশা করেছিলেন।
ONS-এর পরিসংখ্যান দেখিয়েছে, ডিসেম্বরে বিক্রির হ্রাস ঘটেছে খাবারের দোকানেও। বিশেষ করে সুপারমার্কেট, যেখানে বিক্রির পরিমাণ ১.৯% কমেছে এবং তা এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
কসাইখানা, বেকারি, অ্যালকোহল, তামাকজাত পণ্যের দোকান এবং ভ্যাপিং শপসহ বিভিন্ন খুচরা বিক্রি হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যায়।
ONS-এর সিনিয়র পরিসংখ্যানবিদ হান্না ফিনসেলবাচ বলেন, “ ডিসেম্বরে খুচরা বিক্রি হ্রাস পেয়েছে, যার প্রধান কারণ খাবারের দোকানগুলোর দুর্বল অবস্থা। বিশেষ করে সুপারমার্কেটগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে টেক্সটাইল, পোশাক এবং জুতা বিক্রির দোকানগুলোতে বিক্রির পরিমাণ ৪.৪% বৃদ্ধি পায়, যা খুচরা খাতের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাসিক বৃদ্ধি। ডিপার্টমেন্ট স্টোরগুলোতেও ১.২% মাসিক বিক্রি বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে।
পোশাকের দোকানগুলো অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে যথাক্রমে বিক্রি ৩.৫% ও ৩.৩% হ্রাস পেয়েছে। তবে ক্রিসমাসের সময় পোশাক ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকানগুলো ভালো ব্যবসা করেছে।”
ONS-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৯ নভেম্বর ব্ল্যাক ফ্রাইডে বিক্রি ডিসেম্বরে বিক্রির পরিমাণ বাড়াতে ব্যর্থ হয়। কারণ অনেক দোকান প্রকৃত দিনের আগেই ছাড় দেওয়া শুরু করেছিল।
মোবাইল ফোন বিক্রেতা EE-এর খুচরা পরিচালক আসিফ আজিজ বলেন, গোল্ডেন কোয়ার্টার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, যা খুচরা খাতের জন্য একটি কঠিন বছর ছিল।”
ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম জানিয়েছে, ডিসেম্বরে বিক্রি বৃদ্ধি আগের দুই মাসের দুর্বল পারফরম্যান্স পুষিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে লেবার বাজেটের প্রভাব খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
ONS-এর হতাশাজনক তথ্য সুপারমার্কেটগুলোর জন্য বেশ বিপরীত। কারণ টেসকো, সেইনসবারি, আলডি ও লিডল-এর মতো চেইনগুলো ইতিবাচক ক্রিসমাস পারফরম্যান্স রিপোর্ট করেছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, খাদ্যদ্রব্যে মূল্যস্ফীতির কারণে বিক্রির মূল্য বৃদ্ধি পেলেও পোশাকের দোকানে বড় ছাড়ের কারণে বিক্রির পরিমাণ বাড়লেও লাভ কমেছে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৭ জানুয়ারি ২০২৫