চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ স্থিতিশীল বাজারে খুচরা বিক্রি বেড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি দেশের চলমান মন্দা স্বল্পস্থায়ী করে তুলবে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বিক্রি বেড়েছে, যা ছিল ২০২১ সালের এপ্রিল-পরবর্তী সবচেয়ে শক্তিশালী মাসিক আয়।
অর্থনীতিবিদরা আশা করেছিলেন প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। যুক্তরাজ্যের সবক্ষেত্রেই বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে খাবার দোকানগুলোয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই আয় বেড়েছে অনেকাংশে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস (ওএনএস) তথ্যমতে, আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে দেশটি প্রযুক্তিগত মন্দায় ভুগছিল। বছরের প্রায় শেষ দিকে এসে দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে দশমিক ১ শতাংশ হারে কমেছিল মোট স্থানীয় পণ্যের বাজার। দেশে ছুটির মৌসুমগুলোয় যে হারে পণ্য বিক্রি প্রত্যাশা করা হয়েছিল সে অনুপাতে কম হয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারির পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল দেশটির খুচরা বাজার। ওএনএস প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রিটিশ খুচরা বিক্রি ১ দশমিক ৩ শতাংশের নিচে রয়েছে মহামারী-পূর্ব থেকেই।
ব্রিটিশ ভোক্তা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপক ক্রিস হ্যামার বলেছেন, ‘দীর্ঘ ১৯ মাস বাজার পতনের পর তিন মাস খুচরা বাজার ভালো অবস্থানে। তবে সংশ্লিষ্টদের অনেকে মনে করেন, এ বিষয়ে আরো বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’
নতুন পরিসংখ্যান অনুসারে, খুচরা খাতের দীর্ঘ স্থবিরতার পর গত ১৮ মাসে বিস্তৃত অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে। যদিও অর্থনীতিবিদ বেরেনবার্গ আশা করছেন প্রকৃত মজুরি ও ভোক্তাদের আস্থার কারণে আগামী মাসগুলোয় খুচরা বাজারের গতি বাড়বে।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪