চীনকে হুমকি মনে করা তাইওয়ান প্রথমবারের মতো নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ থেকে নিজেদের তৈরি সাবমেরিন উন্মোচন করেছে। এর মাধ্যমে বেইজিংয়ের সব রকমের সম্ভাব্য হামলা ঠেকানোর প্রস্তুতি আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল দ্বীপটি।
তাইওয়ান সামরিক কর্মকর্তাদের মতে ১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার বাজেটে তৈরি ডিজেল-ইলেকট্রিক চালিত সাবমেরিনটি বেশ কয়েকটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে এবং ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ নৌবাহিনীর কাছে সরবরাহ করা হবে।
চীনা রূপকথার উড়ন্ত মাছের নাম অনুসারে সাবমেরিনটির নামকরণ করা হয়েছে হাইকুন। আরেকটি সাবমেরিন বর্তমানে উৎপাদনে রয়েছে। তাইওয়ানের লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত দশ সাবমেরিনের একটি বহর পরিচালনা করা যার মধ্যে দুটি পুরানো ডাচ-নির্মিত নৌকাও থাকবে। পাশাপাশি এই বহরকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করাও তাদের উদ্দেশ্য। মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, চীন সামরিকভাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আক্রমণ করতে পারে তাইওয়ানকে।
তাইওয়ান একটি স্ব-শাসিত দ্বীপ যাকে চীন একটি বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে মনে করে এবং তারা এর স্বাধীনতার বিপক্ষে। তবে বেশিরভাগ পর্যবেক্ষক মনে করেন, চীন সহজেই দ্বীপে আক্রমণ করবে না এবং বেইজিং বলেছে যে তারা তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ‘পুনর্মিলন’ চায়।
একইসঙ্গে তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা এবং বিদেশি সমর্থনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে চীন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ার ঘিড়ে একাধিক সামরিক মহড়া পরিচালিত করতে দেখা গেছে বেইজিংকে।
প্রথমবার নিজেদের তৈরি সাবমেরিন উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সাই বলেন, ‘ইতিহাস চিরকাল এই দিনটিকে মনে রাখবে। অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি সাবমেরিনের ধারণাটিকে আগে খুবই অসম্ভব মনে করা হতো। কিন্তু আমরা এটি করেছি। তবে চীন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বলেও জানা যায়।
এম.কে
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩