জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত ১১ টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের তার নিজ বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মোঃ তালেবুর রহমান বলেন, ‘দুদকের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
এর আগে গত ৩ জুন দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারাকাত ও সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে জনতা ব্যাংকে অ্যাননটেক্সের ঋণ জালিয়াতি করে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, স্থাপনাবিহীন ৩ কোটি ৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় কেনা জমিকে ১৬৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা মূল্যায়ন করা (অতি মূল্যায়ন) হয়। এর মাধ্যামে ঋণ অনুমোদন, বিতরণ এবং গ্রহণের মাধ্যমে জনতা ব্যাংকের ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন আসামিরা। অ্যাননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল সুপ্রভ স্পিনিংয়ে অনুকুলে মঞ্জুর করা ১৮০ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের হিসাবে গ্রহণের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত, সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, মিসেস সঙ্গীতা আহমেদ, নিতাই চন্দ্র নাথ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ পেতে ও আত্মসাতে সহায়তা করেছেন।
মামলাটি দুদক তদন্ত শেষে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাতের পেছনে জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারাকাতের সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তাকে এই মামলায় দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে ডিবির একটি টিম ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের একটি বাড়ির ফ্ল্যাট থেকে আবুল বারাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এম.কে
১১ জুলাই ২০২৫