জাতিগত বৈষম্য মোকাবেলার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে জাতিগত বিতর্কে বিরাজমান হতাশাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করা হয়েছে।
৯৭ পৃষ্ঠার পরিকল্পনার একটি ভূমিকায় সমতা মন্ত্রী (ইকুয়ালিটি মিনিস্টার) কেমি ব্যাডেনোচের বলেছেন, সুযোগের অভাবকে ‘শুধুমাত্র জাতিগত সংখ্যালঘু অসুবিধার প্রিজমের মাধ্যমে’ দেখা উচিৎ নয়।
বুধবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় গত বছরের জাতি ও জাতিগত বৈষম্যের (ক্রেড) কমিশনের একটি বিতর্কিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ‘ইনক্লুশন ব্রিটেন’ কৌশলটি প্রকাশিত হয়।
এর প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিহাসের পাঠ্যক্রম সংশোধন করা, জাতিগত বেতনের ব্যবধান কীভাবে পরিমাপ করা যায় এবং রিপোর্ট করা যায় সে বিষয়ে নিয়োগকর্তাদের পরামর্শ দেওয়া, এবং নতুন আইনের মাধ্যমে অনলাইন বর্ণবাদ বন্ধ করা।
এদিকে লেবার পার্টি সরকারকে ‘অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণে’ ব্যর্থতার অভিযোগ করেছে।
গত বছর সরকার-কমিশন করা ক্রেড রিপোর্ট উপসংহারে পৌঁছেছে যে বর্ণবাদ একটি ‘বাস্তব সমস্যা’, কিন্তু ব্রিটেন এমন কোনো দেশ নয় যেখানে ‘সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে কারচুপি’ করা যায়।
সরকারের নতুন কৌশলটি কমিশন দ্বারা চিহ্নিত তিনটি মূল থিমের অধীনে ২৪টি সুপারিশের প্রতিটি নিয়ে কাজ করে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
১৭ মার্চ ২০২২
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এনএইচ