২০১৮ সালে জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালীন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি বিন মর্তুজা। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মাশরাফির সঙ্গে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান। জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় অনেক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে দেখতে চান না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
সোমবার (১২ আগস্ট) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবির প্রধান নির্বাচক। এ সময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতির পাশাপাশি কেউ জাতীয় দলে থাকতে পারবে কিনা এটা নিয়ে গতকাল হয়তো সোহান (নুরুল হাসান) বলেছে। একই সঙ্গে আমি যোগ করতে চাই, সংস্কার দুই জায়গায়ই হতে হবে। একটা খেলোয়াড়ের জন্য যেমন, জাতীয় দলের সঙ্গে থাকাকালে তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারবেন কি না, তার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরই বা উচিত কি না যে একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে দলে নেওয়া। তারা তো দেশের জন্যই কাজ করেন। ইটস নট আ ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক। আপনি শুধু খেলোয়াড়কে দোষ দিতে পারবেন না।’
লিপু আরও বলেন, ‘যদি খেলা থাকে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকে, তাহলে আপনি কোনটাকে অগ্রাধিকার দেবেন। একটা নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা যদি থাকে, তাহলে মনে হয় ভালো। তাহলে কোনো খেলোয়াড় রাজনীতিতে যাওয়ার আগে চিন্তা করবেন, তার অগ্রাধিকার কোথায়। এই রাস্তাটা মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত।’
বিসিবির প্রধান নির্বাচক আরও বলেন, ‘আপনি যদি জাতীয় সম্পদ হন, আপনাকে সে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক লগ্নি থাকে। তারপর খেলোয়াড় হিসেবে আপনার দেশকে যখন আরও অনেক কিছু দেওয়ার থাকে, তখন আপনি যদি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, হ্যাঁ আপনি যদি আগে থেকেই বিল্ডআপ করে থাকেন, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আপনি যদি আপনার বর্তমান অবস্থানের কারণে শিফট হয়ে যান, সেটা হলে দেশই বঞ্চিত হয়।’
এম.কে
১২ আগস্ট ২০২৪