বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের জন্য বিদেশে অর্থায়ন বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের একজন কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এ কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এমন একটি চুক্তির ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৬ এর আরেকটি সূত্র জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির পক্ষে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয় সম্পর্কে সিএনএনের পক্ষ থেকে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ কয়লার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তিতে তেল ও গ্যাসের প্রকল্পগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। থিংক ট্যাংক ইথ্রিজি-এর জলবায়ু অর্থ বিশেষজ্ঞ ইস্কান্দার এরজিনি ভার্নোইট বলেছেন। চুক্তিটি এমনি কিছু পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে, যা কয়েক বছর আগে কল্পনাও করা যেত না।
এর আগে গত অক্টোবর মাসে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) ‘প্রোডাকশন গ্যাপ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০৩০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়াসহ ১৫টি উন্নত দেশ তেল ও গ্যাসের উত্তোলন দ্বিগুণের বেশি বাড়াবে। এটি বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিরাপদ পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এর ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে।
প্রোডাকশন গ্যাপের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫টি দেশ আগের তুলনায় প্রায় ১১০ শতাংশ বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে। এ তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়া।
৪ নভেম্বর ২০২১
নিউজ ডেস্ক