গুঞ্জনটা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে নাকি চুটিয়ে প্রেম করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আর এই পরকীয়াই ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মিশেম-ওবামার দীর্ঘ দাম্পত্যে। যদিও সব ‘তত্ত্ব’ উড়িয়ে দিচ্ছেন জেনিফার। কিন্তু নেট ভুবনে ঝড় তুলেছে এই ‘প্রেম কাহিনি’।
বিতর্কের সূত্রপাত গত বছর এক ট্যাবলয়েডের স্টোরি দিয়ে। ‘দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট জেন অ্যান্ড বারাক’। এদিকে সেই সময় থেকেই গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করেছে, মিশেল ও বারাকের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই। দুয়ে দুয়ে চার করে নেয় নেটিজেনরা। তখন থেকেই দানা বাঁধতে থাকে নানা ‘রটনা’।
গত বছরের অক্টোবরে জেনিফার মুখও খোলেন এক লেট নাইট শোয়ে। সেই সাক্ষাৎকারের একটি ক্লিপ সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ক্লিপে দেখা যায়, বারাকের সঙ্গে তার নাম জড়ানোর কথা শুনে হাসতে শুরু করেছেন জনপ্রিয় টিভি শো ‘ফ্রেন্ডস’-এর র্যাচেল গ্রিন নামের চরিত্রে প্রায় কিংবদন্তি হয়ে ওঠা অভিনেত্রী। তিনি বলেন এটা ট্যাবলয়েডের বানানো স্টোরি ছাড়া কিছুই নয়।
জেনিফারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি একবার মাত্র তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।’ ২০০৭ সালের এক হলিউড গালার কথা বলেন তিনি। এরপরই জেনিফার বলেন, ‘আমি মিশেলকে তার চেয়ে বেশি ভালো জানি।’ কিন্তু তিনি এমন কথা বললেও গত কয়েক মাসে গুঞ্জন ক্রমেই জোরালো হয়েছে। এক ট্যাবলয়েডের দাবি, ওবামার সঙ্গে জেনিফারের সম্পর্ক আর নিছক বন্ধুত্বে আবদ্ধ নেই। আর সেটাই প্রভাব ফেলেছে মিশেল-ওবামার দাম্পত্যে। তবে জেনিফার মুখ খুললেও ওবামা বা মিশেল এই নিয়ে কিছুই বলেননি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণে ওবামা এলেও আসেননি মিশেল। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্যেও যাননি তিনি। অথচ বারাক গিয়েছিলেন। এবং সেখানে তাকে ট্রাম্পের সঙ্গে হাসাহাসি করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও মিশেল ওবামার অনুপস্থিতি ঘিরে নানা গুঞ্জন ছড়াতে থাকে। যদিও ওবামা দম্পতির ডিভোর্স নিয়ে গুঞ্জন এখনও জল্পনার স্তরেই রয়েছে। কিন্তু তা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। আগামিদিনে এই সম্পর্ক নিয়ে কোনও ‘সলিড’ প্রমাণ মেলে কিনা সেদিকেই এখন তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
এম.কে
২৪ জানুয়ারি ২০২৫