লেবার দলের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ক্রমবর্ধমান চাপে পড়েছেন। তবে টিউলিপ সিদ্দিক তার উপর উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিজেকে তদন্তের জন্য উপস্থাপন করেছেন।
দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক তার সম্পত্তি নিয়ে তদন্তে সরকারী নিয়ম ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেলে চাকরি হারাতে পারেন বলে এক মন্ত্রিসভার সদস্য ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিজ্ঞান বিষয়ক সচিব পিটার কাইল রবিবার সানডে মর্নিং উইথ ট্রেভর ফিলিপস অনুষ্ঠানে টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে প্রশ্নের মুখোমুখি হন।
খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনের যে সম্পত্তিগুলোর সাথে তার খালা শেখ হাসিনার সহযোগীদের সম্পর্ক রয়েছে, সেগুলোতে তিনি বসবাস করেছেন বলে অভিযোগ ওঠার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত মন্ত্রীর স্বার্থ বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন।
এছাড়াও, তার খালার সঙ্গে রাশিয়ায় ভ্রমণ নিয়েও প্রশ্নও উঠেছে।
টিউলিপ সিদ্দিক দাবি করেছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি।
ট্রেজারি বিভাগের অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে তিনি আর্থিক খাতে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টার তদারকি করেন।
স্কাই নিউজকে পিটার কাইল বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিক বিষয়টি সাথে সাথে স্বপ্রণোদিত হয়ে উপস্থাপন করেছেন।
“এখন একটি প্রক্রিয়া চলছে এবং আমরা জানি যে এটি কার্যকর প্রক্রিয়া হবে এবং এর ফলাফল প্রধানমন্ত্রী এবং এই সরকার অনুসরণ করবে, যা অতীতে আমরা দেখেছি তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।”
সানডে মর্নিংয়ের ট্রেভর ফিলিপস উল্লেখ করেন যে, যদি ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আসত, তাহলে লেবার দল নিশ্চয় পদত্যাগ দাবি করত।
বিজ্ঞান বিষয়ক সচিব পিটার কাইল এর উত্তরে বলেন, তিনি তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করেছেন।
ফলাফল বের হওয়ার পর টিউলিপ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
তার এই মন্তব্যের আগে কনজারভেটিভ নেতা কেমি বাডনক গতকাল টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার দাবি জানান।
আজ স্কাই নিউজে ছায়া চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইড এই দাবির পুনরাবৃত্তি করেন।
তিনি বলেন, ” প্রধানমন্ত্রী টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন না কেন সেটা আরো বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। টিউলিপ দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী এবং তার বিরুদ্ধে এখন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার পক্ষে এই পদে কাজ করা প্রায় অসম্ভব। তাই তাকে পদত্যাগ করা উচিত এবং প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।”
এই সপ্তাহে সানডে টাইমস বাংলাদেশের বর্তমান নেতা মুহাম্মদ ইউনুসের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে, যেখানে তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, যদি সম্পত্তিগুলো “সরাসরি ডাকাতির মাধ্যমে” অধিগ্রহণ করা হয়ে থাকে, তাহলে সেগুলো তার সরকারের কাছে ফেরত দেওয়া উচিত।
সূত্রঃ স্কাই নিউজ
এম.কে
১২ জানুয়ারি ২০২৫