ট্রাম্প প্রশাসনের ধর্মীয় উপদেষ্টা বোর্ডে দুই বিতর্কিত মুসলিম ব্যক্তিত্ব—ইসমাইল রয়ের ও শায়খ হামজা ইউসুফ—এর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। উভয় ব্যক্তির বিরুদ্ধেই ভারতীয় সরকার ও মিডিয়া পক্ষপাতিত্বমূলক ও চরমপন্থী ভাবধারার অভিযোগ এনেছে।
ইসমাইল রয়ের, যিনি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত এবং রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইনস্টিটিউটের সাবেক মুখপাত্র, তাকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অতীতে উগ্রপন্থার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত প্রখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদ শায়খ হামজা ইউসুফ, যিনি জেইতুনা কলেজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে সরব হওয়ায় ভারতীয় মিডিয়ার তোপের মুখে পড়েছেন।
ভারতের প্রভাবশালী মিডিয়া Firstpost এ ঘটনাকে “পাকিস্তানমুখী পদক্ষেপ” বলে আখ্যা দিয়েছে এবং মন্তব্য করেছে, “এটা মোদি সরকারের জন্য খুবই খারাপ বার্তা।” তাদের মতে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারতের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এরই মাঝে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সহযোগীদের বৈঠকের খবরও সামনে এসেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যদিও এই সকল পদক্ষেপের মাঝে সরাসরি রাজনৈতিক সংযোগের প্রমাণ নেই, তবে দিল্লিতে এসব ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানায়, “এটা গভীর কূটনৈতিক উদ্বেগের বিষয়।”
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই ঘটনাগুলো বিশ্বমঞ্চে ভারতের ‘বিরোধী ভাবাপন্ন’ বলে বিবেচিত ব্যক্তিদের ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতির দিকে ইঙ্গিত করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে নতুন চ্যালেঞ্জ আনতে পারে।
সূত্রঃ ফার্স্টপোস্ট
এম.কে
২১ মে ২০২৫