TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

ডিউক অফ সাসেক্সের ক্ষতিপূরণ দাবীর মামলা যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টে

যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদপত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে বেআইনী আচরণের অভিযোগ এনে করা মামলায় গত জুন মাসে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। উচ্চ আদালতের বিচারক রায় দিয়েছেন, ডিউক অফ সাসেক্সের ক্ষতিপূরণের দাবী খুব শীঘ্রই বিচারী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে।

মিরর গ্রুপ নিউজপেপারসের (এমজিএন) বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে ব্রিটিশ রাজা চার্লসের ছোট ছেলে হ্যারিকে লন্ডনের হাই কোর্টে সাক্ষ্য দানকারী বক্সে দেখা গিয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।

এমজিএন-ই ডেইলি মিরর, সানডে মিরর ও সানডে পিপলের প্রকাশক। হ্যারি ছাড়াও শতাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তি গ্রুপটির বিরুদ্ধে বেআইনী আচরণের অভিযোগ এনেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

এমজিএনের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তি মামলা করার পর গত মাস থেকে এ নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, তাদের সম্বন্ধে তথ্য পেতে এমজিএনের সাংবাদিক বা তাদের দ্বারা নিয়োগকৃত বেসরকারি গোয়েন্দারা ‘বিপুল মাত্রায়’ ফোন হ্যাক ও অন্যান্য বেআইনি কাজ করেছিল।

এমজিএনের ‍ঊর্ধ্বতন সম্পাদক এবং নির্বাহীরাও এসব বেআইনি কার্যকলাপ সম্বন্ধে অবগত ছিল, বলছেন অভিযোগকারীদের আইনজীবীরা।

অন্যদিকে এমজিএন বলছে, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফোন হ্যাক বা বেআইনি কোনো কর্মকাণ্ড সম্বন্ধেই জানতেন না।

বৃহস্পতিবার এক রায়তে বিচারক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে হ্যারি ফোন হ্যাকিংয়ের সাথে সম্পর্কিত তার দাবি যথাযথ ভাবে আনতে পারেননি। তবে বেসরকারী তদন্তকারীদের ব্যবহার সহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে প্রিন্স হ্যারির দাবিটি একটি বিচারের দিকে এগিয়ে যাবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল শুরু হতে পারে বলে খবরে জানা যায়।

রাজ পরিবার এবং মিডিয়া অধিপতি রুপার্ট মারডোকের এক্সিকিউটিভদের মধ্যে একটি কথিত “গোপন চুক্তি”র উপর হ্যারির নির্ভরতা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেন উচ্চ আদালতের বিচারক।

উল্লেখ্য যে, হ্যারি সাম্প্রতিক মাসগুলিতে হাইকোর্টে ছয়টি আইনী লড়াইয়ে জড়িত ছিলেন। তার নাগরিক মামলার মধ্যে রয়েছে বেআইনীভাবে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ। তাছাড়া হ্যারি ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে হোম অফিসের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

এম.কে
২৮ জুলাই ২০২৩

আরো পড়ুন

সিলেটের কুলাউড়ায় নুনছড়া খাসিয়াপুঞ্জিতে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা

অনলাইন ডেস্ক

সীমাবদ্ধ অভিবাসন নীতির কারণে ভুগছে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

নিউজ ডেস্ক

Training & Life skill | 9 February 2021

অনলাইন ডেস্ক