বাইরে থেকে মিয়ানমারের জান্তার অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, কিন্তু ভেতরে-ভেতরে বিদ্রোহী গ্রুপের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেন তারা৷ বার্মিজ ভাষায় বিদ্রোহীরা তাদেরকে ‘তরমুজ’ নামে ডাকেন৷
২৪ বছরের ইয়ান মিয়ানমারের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা৷ তিনি সামরিক জান্তা সরকারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থেকে ঝুঁকি নিয়ে গোপনে বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করতেন৷ গত এপ্রিলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এখন সীমান্তবর্তী একটি শহরে থাকছেন৷ তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে অন্যায় শাসন থেকে মুক্ত করেছি৷’ ঝুঁকি এড়াতে তিনি নিজের পুরো পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি৷
২০২১ সালে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার এখন সবচেয়ে বড় প্রতিরোধের মুখোমুখি৷ বিরোধী পক্ষগুলো এখন একসাথে সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে৷ সরকারের ভেতরেও অনেকে গোপনে বিরোধীদের হয়ে কাজ করছে বলে জানা যাচ্ছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সাড়া দেয়নি জান্তা৷
বিরোধীরা বলছেন সামরিক বাহিনীর ঠিক কতজন বিদ্রোহীদের কাছে তথ্য সরবরাহ করছে তা নির্ধারণ করা কঠিন৷ তবে তারা সামরিক বাহিনীর যাতায়াতসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন যার উপর ভিত্তি করে বিরোধীরা আক্রমণের পরিকল্পনা সাজাতে পারছেন বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন পিপল’স গোল নামের একটি দলের মুখপাত্র৷ ‘আমরা যে তথ্য সংগ্রহ করেছি তার মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষা পাচ্ছে’- বলেন তিনি৷
রয়টার্স জানিয়েছে, স্বাধীনভাবে তারা এই তথ্য যাচাই করতে পারেনি৷ তবে সামরিক বাহিনীর এক সদস্য জানিয়েছেন তাদের কারো পক্ষে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর হয়ে গোয়েন্দাগিরি করা কঠিন৷ তবে কেউ কেউ আছে যাদের বিদ্রোহীদের প্রতি পক্ষপাত আছে৷
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট ফর পিস’-এর হিসাবে আট হাজার সদস্য নিরাপত্তা বাহিনী থেকে পালিয়েছেন৷
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০৩ জানুয়ারি ২০২৩