যুক্তরাজ্যে ন্যূনতম মজুরি ৪.১% বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী রেচেল রিভস। সরকারের দাবি, জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবিলা ও নিম্নআয় কর্মীদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামী এপ্রিল থেকে নতুন হার কার্যকর হবে।
২১ বছরের বেশি বয়সী কর্মীদের জন্য ন্যাশনাল লিভিং ওয়েজ ঘণ্টায় £১২.২১ থেকে বেড়ে £১২.৭১ হবে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এতে প্রায় ২৪ লাখ কর্মীর বার্ষিক গড় আয় প্রায় £৯০০ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান ব্যয়বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এটি নিম্নআয় চাকুরিজীবীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সহায়তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তরুণ কর্মীদের ন্যূনতম মজুরিতে এবার বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী কর্মীদের মজুরি ৮.৫% বাড়িয়ে ঘণ্টায় £১০.৮৫ করা হচ্ছে। বয়সভিত্তিক মজুরির ব্যবধান কমানোর নীতির অংশ হিসেবে তরুণদের পেমেন্ট দীর্ঘদিন পর উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হলো।
১৬–১৭ বছর বয়সী কর্মী ও অ্যাপ্রেন্টিসদের জন্য মজুরি ৬% বাড়িয়ে ঘণ্টায় £৮ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বৃদ্ধি তরুণ কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী বড় একটি শ্রেণিকে স্বস্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যদিও ট্রেজারির কিছু কর্মকর্তা সতর্ক করেছিলেন যে যুবকদের মজুরি বাড়ালে তারা এন্ট্রি-লেভেল চাকরিতে “বঞ্চিত” হতে পারে, তবুও সরকার লো পে কমিশনের সব সুপারিশই গ্রহণ করেছে। অর্থমন্ত্রী রিভস বলেছেন, কম আয় করা কর্মীরা তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য “যথাযথ পুরস্কার” পাওয়ার অধিকার রাখেন এবং নতুন সিদ্ধান্ত সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।
নতুন মজুরি কাঠামোকে সরকার জীবনযাত্রার ব্যয়সংকট মোকাবিলায় অন্যতম সমর্থনমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে। এর ফলে নিম্নআয় পরিবারগুলো কিছুটা হলেও আর্থিক স্বস্তি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে

