তাইওয়ানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটের বুথ ফেরত ফলাফল অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী উইলিয়াম লাই চিং-তে বিজয়ী হয়েছেন। যাকে চীন ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ হিসেবে দেখে। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে ডিপিপি তৃতীয়বারের মতো আবারও তাইওয়ানের ক্ষমতায় এসেছে। যা দলটির জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ দিন সন্ধ্যায় বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে নিজের দলের বিজয় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তার দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী উভয়েই পরাজয় স্বীকার করেছেন।
লাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুইজন। এদের একজন তাইওয়ানের প্রধান বিরোধীদল কুয়োমিনটাং (কেএমটি) এর প্রার্থী হু যু-ই, অপরজন অপেক্ষাকৃত নবীন দল তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) প্রার্থী রাজধানী তাইপের সাবেক মেয়র কো ওয়েন-জে।
ডিপিপি’র ঐতিহাসিক বিজয়ের পর গণমাধ্যমকে লাই জানান, তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের গণতন্ত্রে একটি নতুন অধ্যায় লেখার জন্য আমি তাইওয়ানের জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি যে আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে কতটা লালন করি। এটি আমাদের অটল প্রতিশ্রুতি।
এদিকে, নির্বাচনের আগে থেকেই উইলিয়াম লাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছিলো চীন। কিন্তু প্রতিবেশী এ পরাশক্তির চাপকে পাত্তা দেননি তাইওয়ানের সাধারণ ভোটাররা। তারা চীন বিরোধী উইলিয়াম লাইকেই ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন।
অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেকে স্বায়ত্তশাসিত বললেও, চীন দাবি করে থাকে এটি তাদের অংশ। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চীন বলেছিল এটি ‘শান্তি অথবা যুদ্ধের’ নির্বাচন।
চীন হুমকি দিয়েছে, তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে একীভূত করার চেষ্টা করা হবে। আর যদি এটি সম্ভব না হয়— তাহলে শক্তি প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণভাবে একীভূত করার জন্য ২০২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে একাধিকবার ইঙ্গিত দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং।
এম.কে
১৪ জানুয়ারি ২০২৪