‘জাতাক সু-তুশুকুর’ নামের মসজিদটি তুরস্কের পূর্ব আনাতোলিয়ার উরজুরুমে অবস্থিত। নান্দনিক মসজিদটিকে ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের অন্যতম নিদর্শন ও উপহার আখ্যা দেয়া হয়। পেরেকের ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মসজিদটি। তা সত্ত্বেও স্থাপনাটি যথেষ্ট মজবুত ও সুদৃঢ়।
ওসমানিয়া শাসনামলে নির্মিত মসজিদটি স্থানীয়দের কাছে ‘মাসজিদুল আলওয়াহিল খাশাবিয়্যা’ বা কাঠের তক্তার মসজিদ নামে বেশি প্রসিদ্ধ।
স্থাপত্যসৌকর্যে অনন্য দৃষ্টিনন্দন ‘জাতাক সু-তুশুকুর’ মসজিদ তুর্কি ও তুরস্কে আসা বিদেশী পর্যটকদের একটি পছন্দের জায়গা। সারা বছর অসংখ্য সৌন্দর্যপ্রেমী দূর-দূরান্ত থেকে এটি দেখতে আসেন। ১৬৬৬ সালে এটি নির্মাণ করেন সে সময়ের বিশিষ্ট বুজুর্গ ব্যক্তি দরবেশ মোহাম্মাদ আফেন্দি।
যদিও কয়েকবার মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে, কিন্তু এর কাঠের তৈরি মূল অবকাঠামো চার শতাব্দীর বেশি সময় ধরে নিজের জৌলুস বজায় রেখেছে। এ সম্পর্কে উরজুরুমের আঞ্চলিক মুফতি শায়খ ফরহাদ কোজাক জানান, মসজিদটির কয়েকবার সংস্কারকাজ করা হয়েছে, তা সত্ত্বেও শুরুর সেই কাঠের ছাদ ও বেশকিছু দেয়াল আগের মতোই অক্ষত ও সংরক্ষিত রয়েছে।
শায়খ ফরহাদ কোজাক বলেন, মসজিদের অভ্যন্তরে একসাথে অন্তত চার শ’ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। পুরো মসজিদের আয়তন কমপক্ষে পাঁচ হাজার বর্গমিটার।
মসজিদটি যখন নির্মিত হয়, তখন উরজুরুম ছিল পূর্ব আনাতোলিয়া সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এ জন্য রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা এখানে আসতেন এবং ‘মসজিদুল আলওয়াহিল খাশাবিয়্যা’তে নামাজ আদায় করতেন। মসজিদটি যেন তার আপন অবস্থায় আরো বহুদিন টিকে থাকে সে জন্য এখনো এর যথাযথ যত্ন করা হয়।
এম.কে
১৩ আগস্ট ২০২৩