তুরস্কের আন্তালিয়া বিমানবন্দরে একটি ইসরায়েলি বিমান জরুরি অবতরণ করার পর সেটি জ্বালানি না নিয়েই ফিরে গেছে। ইসরায়েলিদের অভিযোগ, বিমানটিকে জ্বালানি দেননি বিমানবন্দরের কর্মীরা। তবে তুরস্কের ভাষ্য, বিমানটির ক্যাপ্টেন জ্বালানি না নিয়েই ফিরে যান। গত রোববার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, আন্তালিয়ায় জরুরি অবতরণ করা বিমানটি ইসরায়েলের জাতীয় বিমান সংস্থা এল আল এয়ারলাইনসের। পরে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের একটি ফ্লাইট আন্তালিয়া বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। বিমানটি মেডিকেল ইস্যু থাকলেও জ্বালানি দিতে অস্বীকার করেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।
তুরস্কের এমন আচরণে পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে বিমানটি গ্রিসের রোডসের উদ্দেশে যাত্রা করে। সেখান থেকেই জ্বালানি নিয়ে ইসরায়েলে ফেরে বিমানটি। উল্লেখ্য, এই ফ্লাইট পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের উদ্দেশে রওনা করেছিল।
তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বিমানটিতে একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসার জন্য বিমানটিকে জরুরি অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মানবিক দিক বিবেচনায় বিমানটিতে জ্বালানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে সব ধরনের প্রাসঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই ক্যাপ্টেন অন্যত্র চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই সরব তুরস্ক। উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও অভিযানে ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসের কারণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করে আসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে চলতি মাসের শুরুর দিকে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেন তিনি। আঙ্কারার এই সিদ্ধান্তে বেশ ভালো বিপাকে পড়েছে তেল আবিব।
সূত্রঃ টাইমস অব ইসরায়েল
এম.কে
০৩ জুলাই ২০২৪