যুক্তরাজ্যের রাস্তাঘাটে প্রায়ই দেখা মিলছে থ্রিডি প্রিন্টেড বন্দুক। তাছাড়া এই বন্দুক তৈরির জন্য যেসব ফাইল প্রয়োজন তা সহজেই মিলছে অনলাইনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উগ্র ডানপন্থী গ্রুপের সদস্যরা এসব বিতরণে ভূমিকা রাখছে।
একটি বন্দুক প্রিন্টের জন্য প্রয়োজনীয় ফাইলগুলি মূলধারার সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলির থেকে তিনটি ক্লিকে ডাউনলোড করা যেতে পারে৷ 3D-প্রিন্টেড বন্দুক প্রযুক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দ্রুত অগ্রসর হয়েছে। এরমধ্যে সেমি অটোমেটিক রাইফেল, কার্বাইন এবং পিস্তল রয়েছে।
যারা এই আগ্নেয়াস্ত্রের ডিজাইন তৈরি এবং শেয়ার করেন তাদের টুইটার, ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামে হাজার হাজার ফলোয়ার রয়েছে।
এই অস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বেশি জনপ্রিয় হলেও ইদানিং যুক্তরাজ্যেও এর দেখা মিলছে।
স্কাই নিউজের সঙ্গে সাক্ষাতকারে মেট্রোপলিটান পুলিশ বলছে, ২০১৮ সাল থেকে থ্রিডি প্রিন্টেড বন্দুক জব্দ করে চলেছে পুলিশ। আর এই অস্ত্রগুলোকে উদীয়মান ট্রেন্ড হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে।
এটা এমন প্রযুক্তি যাতে কম্পিউটারের সাথে থ্রিডি প্রিন্টার জুড়ে দিয়ে নানা রকম জটিল আকৃতির বস্তু ঘরে বসেই তৈরি করা যায়। সেই ডিজাইন খুব সহজেই অনলাইনে শেয়ার করা যাবে।
ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারে জিনিসটি তৈরি হবে একটির ওপর আরেকটি অতি পাতলা প্লাস্টিকের স্তর বসিয়ে। এভাবেই বানানো সম্ভব একটি বন্দুকও ।
এসব অস্ত্রের ডিজাইন বা ব্লুপ্রিন্ট প্রস্তুতকারকরা অনেক সময় বিনামূল্যে তা বিতরণ করে। অনেকে ভিডিওর মাধ্যমে দেখিয়ে দেন কিভাবে তা তৈরি করতে হবে।
সমালোচকরা তাই বলছেন, এটা এক বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করতে যাচ্ছে – যাতে লোকের হাতে চলে আসবে এমন আগ্নেয়াস্ত্র যার কথা কেউ জানতে পারবে না।
এ অস্ত্রের গায়ে কোন কারখানার সিরিয়াল নম্বর থাকবে না, যে এই বন্দুকের মালিক হবে সে কে, কেমন লোক, বিপজ্জনক কেউ কিনা – তার কোন ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেক’ও করা সম্ভব হবে না।
১৮ জুন ২০২২
সূত্র: স্কাই নিউজ