দুই দশক আগে নিরাপত্তার খোঁজে সোমালিয়া থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন ইউসুফ। তখন তিনি আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটেনে জীবনযাপন করছেন। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। তিনি বলছেন, আজ আর ব্রিটেন তার কাছে নিরাপদ মনে হয় না। বরং নিজ দেশে ফেরাই এখন তার একমাত্র ইচ্ছা।
ইউসুফ জানিয়েছেন, প্রায় পাঁচ মাস আগে তিনি হোম অফিসে দেশে ফেরার জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছেন। এত বছর পরও তার মনে হচ্ছে তিনি এক অচেনা অনিশ্চয়তার মধ্যে বসবাস করছেন। দেশে ফিরে পরিবার ও শিকড়ের টানে নতুন করে জীবন শুরু করার আশা করছেন তিনি।
তার এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই ব্রিটেনের বর্তমান অভিবাসন সংকটের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন। কারণ, দেশটির সরকার সম্প্রতি নতুন অভিবাসন আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত পারিবারিক পুনর্মিলন প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে। এতে হাজারো শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী জটিলতায় পড়েছেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষগুলো ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কঠোর নীতির ফলে শরণার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। কেউ কেউ বহু বছর পর দেশে ফেরার আবেদন করছেন, যা আগে খুব কম দেখা যেত। ইউসুফের ঘটনা শুধু একজন মানুষের কাহিনি নয়, বরং এটি ব্রিটেনে অবস্থানরত অনেক শরণার্থীর বাস্তব সংকটের প্রতিচ্ছবি।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫