7.2 C
London
December 23, 2024
TV3 BANGLA
মধ্যপ্রাচ্যশীর্ষ খবর

দুবাইয়ের আবাসন খাতে বিনিয়োগে শীর্ষে বাংলাদেশিরা, অর্থের উৎস নিয়ে ধোঁয়াশা

কোভিড মহামারির দেড় বছরে দুবাইয়ে রিয়েল এস্টেট এবং আবাসন খাতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছেন বাংলাদেশি ধনাঢ্যরা। বিনিয়োগের পরিমাণ ১২৩ মিলিয়ন দিরহাম বা প্রায় ২৮৮ কোটি টাকা। দুবাইয়ে ইংরেজি ভাষার টেলার রিপোর্ট এবং আরবি ভাষার ইমারাত আল ইউম সম্প্রতি বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে।

 

কিন্তু পারস্য উপসাগরীয় ধনাঢ্যদের শহরে এই অর্থ আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে যায়নি বলে দাবি করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর সিংহভাগই পাচার করা- কালোটাকা।

তাদের মতে, কালোটাকার উপর প্রকাশিত এ র‍্যাঙ্কিং বিশেষ কিছু বিষয়ের প্রতীক: যেমন মহামারির অভিঘাতের মধ্যেও বাংলাদেশের অনেক ব্যক্তির হাতে ছিল বিপুল টাকা- যা তারা বাংলাদেশে রাখা নিরাপদ মনে করেননি। তাই দুবাইয়ে সেকেন্ড হোম থাকলে বিতর্কিত অতীত ফেলে সেখানে নিরাপদ নতুন বিলাসী জীবন শুরু করা যাবে। দুবাইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ গোপনীয় রাখার নীতি এবং সহজ আবাসনের সুবিধাও তাদের চিন্তাভাবনার সাথে মিলে যায়। ফলে দুবাই তাদের সম্ভাব্য গন্তব্যের সাথে মিলে গেছে ।

 

ধনী দেশ বলে পরিচিত নেদারল্যান্ডের নাগরিকরাও এক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের কাছে হার মেনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তারা কিনেছেন ১১৭.৬৭ মিলিয়ন দিরহামের সম্পত্তি। ১১১.২৫ মিলিয়ন দিরহামের বিনিয়োগ করে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা।

এছাড়া, চীনের নাগরিকরা ১০৭.৯ এবং জার্মানির নাগরিকরা ১০৫ মিলিয়ন দিরহামের সম্পত্তি কিনে যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন।

তবে গণমাধ্যম প্রতিবেদনে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করে

 

দুবাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি সূত্র দিয়ে কালেরকণ্ঠের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও আমলারা এই পরিমাণ টাকা বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনায় বিনিয়োগ করেছেন। দুবাইয়ে বিদেশি বিনিয়োগ গোপন রাখার নীতি রয়েছে। পাশাপাশি সেখানে সহজ আবাসনের সুবিধাও রয়েছে। এসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি ধনাঢ্যরা সেখানে বিনিয়োগ করেছেন।

 

প্রায় একই ধরনের কারণে এবং কালোটাকা সুরক্ষার আইনি ঢাল- কানাডার টরন্টোতে কুখ্যাত “বেগম পাড়া”র জন্ম দিয়েছে- যা কিনা অনেক বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাদের পরিবারের পাচারকৃত অর্থের নিরাপদ আবাস। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন গত বছর এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তিনি বেগমপাড়ায় সম্পত্তি থাকার ২৮টি ঘটনার তালিকা পেয়েছেন। এরপর হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এসব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিতে বলে।

কানাডা সরকারের তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে ৩ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি সেদেশে বসবাসের অনুমতি পেয়েছে। যেখানে ২০০৬-২০২০ সালে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছে ৪৫ হাজার বাংলাদেশি।

 

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এনএইচ

 

আরো পড়ুন

অসুস্থ হয়ে  হাসপাতালে প্রিন্স ফিলিপ

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অবস্থানে অসন্তুষ্ট পশ্চিমা মিত্ররা

অনলাইন ডেস্ক

ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য