বাংলাদেশ থেকে পাচার করে নেওয়া শত শত কোটি টাকা তৃতীয় দেশের মাধ্যমে নিয়ে কানাডায় বৈধ করেছেন পিকে হালদার। গড়েছেন আন্তর্জাতিক এনজিও, বাড়ি। আইনিভাবে এ অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। তবে দুদক আইনজীবী বলেন, অর্থপাচারে ব্যবহার হওয়া তৃতীয় দেশের তথ্য সংগ্রহ সময়সাপেক্ষ ও কঠিন হলেও অসম্ভব নয় অর্থ ফেরত পাওয়া।
কানাডায় পিকে হালদারের আসা-যাওয়া ২০১৫ সাল থেকে। ২০১৭ সালে সরকার ফ্যামিলি হোপ ফাউন্ডেশন নামে এনজিওতে অর্থলগ্নি করেন। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার করা অর্থের বৈধতা দিতে আরেকটি দেশ ব্যবহার করে কানাডায় সে অর্থ পৌঁছান। কোম্পানি খুলতে সে দেশের নিয়ম মেনে ২৫ শতাংশ সিটিজেন শেয়ারও দেন একজন বাংলাদেশি কানাডিয়ানকে। সে প্রতিষ্ঠানটি এখন বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশে কাজ করছে।
২০১৯ সালে কানাডায় বাড়ি-গাড়ি কেনেন হালদার। পরিবারসহ সেখানেই থাকছেন তিনি। কানাডায় সম্পূর্ণ বৈধ অভিবাসী তিনি। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে চলা বিচার বা তাকে দেশে ফেরত আনা কতটা কার্যকর হবে সেটিই প্রশ্ন।
সময় সংবাদ কানাডা প্রতিনিধি শরিফ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কানাডায় পিকে হালদারের একটা এনজিও রয়েছে; সেটা ১৩টা দেশে কাজ করছে।
পলাতক পিকে হালদারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
প্রবাসীরা জানান, পিকে হালদারের বিরুদ্ধে আমরা সমাবেশ করেছি। তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
দুদক আইনজীবী বলেন, অর্থপাচারে ব্যবহার করা তৃতীয় দেশগুলোর কাছ থেকে তথ্য পেলে আরো গতি পাবে এই তদন্ত।
অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলেন, অবৈধভাবে টাকা নিয়ে বৈধ করার সুযোগ পাবে না। সেটা হয়তো কানাডাতে বৈধ হতে পারে। কানাডা হয়তো আপনি ইনভেস্টমেন্ট করলেন আরেকটা থার্ড কান্ট্রির মাধ্যমে কিন্তু সেটা টাকাটা গেল আমার দেশ থেকে। বাংলাদেশ দেখবে টাকা কীভাবে কানাডায় গেল এবং দেখার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
৩৬০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা পিকে হালদারকে আইনের আওতায় আনা গেলে কানাডার বেগমপাড়ায় যারা অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও তদন্তের দ্বার খুলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র: সময় সংবাদ
৮ জানুয়ারি ২০২১
নিউজ ডেস্ক