যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই জো বাইডেন নতুন অভিবাসন আইনের প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করেছেন। এর সূত্র ধরে অভিবাসন তিনটি নির্বাহী পদক্ষেপে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অভিবাসনের নিয়ম বদলাতে তৎপর হন রিপাবলিকান ট্রাম্প। অভিবাসনের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা জরুরি প্রস্তাবনা বাতিল করেছেন বাইডেন। এই জরুরি প্রস্তাবনার অধীনে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থায়ন এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর প্রয়াসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করায় অনিবন্ধিত পরিবারের সদস্যার থেকে শিশুদের পৃথক করে দেন। বাইডেন ওইসব পরিবার থেকে দূরে থাকা শিশুদের পুনরায় মিলিত করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করবে্ন বলে জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নীতি বদলে ফেলা হয়েছিল, সেগুলো আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি আগে থেকেই দিয়ে আসছিলেন বাইডেন।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজের ব্রিফিংয়ে প্রেস সেক্রেটারি জেন সোসাকি বলেছিলেন, প্রশাসন একটি “নৈতিক” এবং “মানবিক” অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হোয়াইট হাউসে বক্তব্য রাখেন জো বাইডেন। তিনি বলেন, আমরা পূর্ববর্তী প্রশাসনের অনৈতিক ও জাতীয় লজ্জার বিষয় বন্ধে কাজ করতে যাচ্ছি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ১১ মিলিয়ন অবৈধ লোকদের আইনী মর্যাদা ও নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: মিরর
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এসএফ