যুক্তরাজ্যের নগরমন্ত্রী হিসাবে যোগ দেয়ার পর হতে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না টিউলিপ সিদ্দিকীর। একটি প্রপার্টি ডিক্লেয়ার না করার কারণে কিছুদিন পূর্বেই টিউলিপের নামে তদন্ত শুরু হয়েছিল। তাছাড়া টিউলিপের নির্বাচনে তার খালার দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কাজ করা নিয়েও নানা সমালোচনা চালু রয়েছে বলে জানা যায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী তাইকুন যিনি টিউলিপ সিদ্দিকীর খালা শেখ হাসিনার বন্ধু ও বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট। টিউলিপ সিদ্দিকী তার নিকট হতে অন্যায় সুবিধা আদায় করেছেন। শেখ হাসিনা আবদুল করিম নামের এই ব্রিটিশ বাংলাদেশিকে বিশেষ মর্যাদায় সিআইপি উপাধি প্রদান করেছিলেন এবং শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান পদটিও পেতে সাহায্য করেছিলেন।
লেবার সরকারের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকী নিজের ঘর ভাড়া দিয়ে তার খালার বিশেষ বন্ধু আবদুল করিমের দুই মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ঘরে বর্তমানে অবস্থান করছেন। এই প্রপার্টি টিউলিপ সিদ্দিকীর নিজের কেনা ঘর হতে অল্প দূরে অবস্থিত বলেও খবরে জানা যায়।
দ্য মেইল অন সানডের রিপোর্টে জানানো হয়, বারবার জিজ্ঞেস করার পরও টিউলিপ সিদ্দিকী ঘরভাড়া কত প্রদান করেন সেই বিষয়ে কথা বলতে চান নাই।
রিফর্ম দলের চেয়ারম্যান নাইজেল ফারাজ লেবার সরকারের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকীর এই কার্যক্রমকে গোলমেলে বলে আখ্যা দিয়েছেন।
নাইজেল ফারাজ বলেন, সরকারের একজন মন্ত্রী যদি সঠিক তথ্য প্রদান না করেন এবং ভাড়া কম বা ভাড়া প্রদান না করে ঘরে অবস্থান করেন তাহলে সেটি বড় অন্যায়। আবদুল করিম নামের ব্যবসায়ী বন্ধুটি এর বিনিময়ে লেবার পার্টির মন্ত্রীর নিকট হতে অন্যায্য সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করতে পারেন। লেবার পার্টি এমন লোককে মন্ত্রী বানিয়েছে কারণ এই দল গোলমেলে কাজ করতে পছন্দ করে।
উল্লেখ্য যে, আবদুল করিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার একজন সদস্য। তাছাড়া যুক্তরাজ্যের আইনানুযায়ী যদি কোনো সাংসদ কম ভাড়া দিয়ে কোনো প্রপার্টিতে বসবাস করেন তাহলে তা সরকারকে অবহিত করা বাধ্যতামূলক। নতুবা এটি একটি বড় অন্যায় হিসাবে দেখা হয়ে থাকে।
গত কয়েক সপ্তাহে সহিংস-সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পরে গত সোমবার টিউলিপ সিদ্দিকীর খালা শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।তিনি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পান নাই বলেও জানা যায়।
সূত্রঃ দ্য মেইল অন সানডে
এম.কে
১২ আগস্ট ২০২৪