রিফর্ম ইউকে নেতা নাইজেল ফারাজ ব্রিটেনকে ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন (ECHR) থেকে বের করার প্রস্তাবিত বিল পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন। তবে তার বক্তৃতা চলাকালীন তিনি বারবার বিরোধী সাংসদদের ব্যাঘাতের মুখোমুখি হন, প্রধানত লিবারাল ডেমোক্র্যাটরা। একসময় ফারাজ বিরক্ত হয়ে বলেন: “শিশুরা, চুপ করো।”
ভ্লাদিমির পুতিনের মন্তব্যের পর তিনি কটাক্ষ করে বলেন: “এখানকার বুদ্ধিবৃত্তিক বিতর্কের মান দেখলে সত্যিই অবাক হই।” আরেকটি ব্যাঘাতের পর ফারাজ প্রশ্ন তুলেন, “লিবারাল ডেমোক্র্যাট এবং অন্যরা, তোমাদের কি সমস্যা? তুমি কি বিশ্বাস করো না যে এই দেশ নিজের আইন তৈরি করতে সক্ষম?”
ফারাজ ১০ মিনিটের বিল উপস্থাপন করে বলেন, ব্রেক্সিট সম্পূর্ণ হতে পারে না যতক্ষণ দেশ বিদেশি আদালতের অধীনে রয়েছে। তিনি স্ট্রাসবুর্গের বিচারক ও স্থানীয় বিচারকদের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও দেশীয় আইন প্রয়োগের জন্য অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, এই বিলের লক্ষ্য পার্লামেন্টকে ভোটারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়া, ব্রিটিশ সাধারণ আইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জন্মগত অধিকার, স্বাধীনতা ও মুক্তির ধারণা পুনরায় ফিরিয়ে আনা। ফারাজ দাবি করেন, এ ধরনের সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দেশকে সুসংহত রাখেছে।
ফারাজ সতর্ক করে বলেন, ১৯৯৮ সালে স্বাক্ষরিত কনভেনশন দেশের সীমান্ত ও অভিবাসন নীতিকে সীমাবদ্ধ করছে। তিনি বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব, পার্লামেন্টের ক্ষমতা এবং ভোটারদের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারই এই বিলের মূল বিষয়।”
শেষে, পার্লামেন্টে ভোটে বিলটি ১৫৪ ভোটের বিপক্ষে ও ৯৬ ভোটের পক্ষে পড়ে বাতিল হয়, ফলে নাইজেল ফারাজের স্বায়ত্তশাসন ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।
সূত্রঃ দ্য এক্সপ্রেস
এম.কে

