১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতে যত সংখ্যক নারী কর্মরত ছিলেন, ২৫ বছরের ব্যবধানে অর্থাৎ ২০২২ সালে এসে সে সংখ্যাটা ব্যাপক আকারে কমেছে। সেন্টার অব ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের তথ্য বলছে, ১৯৯৭ সালে দেশটির আর্থিক খাতে আজকের তুলনায় দুই লাখের বেশি নারী কর্মরত ছিলেন।
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষে সেন্টার অব ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের একটি প্রতিবেদনে দেখানো হয়, পাঁচ বছরে আর্থিক খাতে পুরুষের তুলনায় কমেছে নারীর উপার্জনও। এছাড়া নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে আর্থিক খাতে কর্মরত নারীর অংশগ্রহণের অনুপাত কমেছে ক্রমাগতভাবে।
১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতে প্রায় ৫ লাখ ৮৯ হাজার নারী কাজ করত। যেখানে ২০২২ সালে এসে অর্থাৎ প্রায় ২৫ বছর পর, সংখ্যাটি ৩০ শতাংশেরও বেশি কমে মাত্র চার লাখে দাঁড়িয়েছে।
১৯৯৭ সালে দেশটির আর্থিক খাতে যেখানে নারীর অংশগ্রহণ ছিল ৫৭ শতাংশ সেখানে ২০২১ সালে তা রেকর্ড সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
এ সম্পর্কে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী জুলিয়া হগেট বলেন, ‘ ক্রমেই ডিজিটালাইজেশনের ফলে কিছু কাজে কর্মী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। আমি এমন কিছু তথ্য দেখেছি, যা ইঙ্গিত করছে বিনিয়োগ ব্যাংকিংয়ের কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীর ভূমিকা কমছে।’
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সাল থেকে শুরু করে আগের পাঁচ বছরে আর্থিক পরিসেবা কাজের সব স্তরে পুরুষের তুলনায় নারীর উপার্জন কমেছে। অথচ গত ২৫ বছরে এ খাতের নারী কর্মীরা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ১ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন পাউন্ড বা ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার অবদান রেখেছিল।
এম.কে
১৫ মার্চ ২০২৩