5.3 C
London
December 23, 2024
TV3 BANGLA
ফিচারশীর্ষ খবর

পরিবেশ বাঁচাতে জাতিসংঘের ভিডিও গেম

জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচির (ইউএনইপি) ‘প্লেয়িং ফর প্ল্যানেট’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভিডিও গেমস সামাজিক এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধানে কয়েক বিলিয়ন মানুষকে যুক্ত করতে সক্ষম।

 

তাই এবার তরুণদের জলবায়ু পরিবর্তনে সহায়তা করতে জাতিসংঘ তার নিজস্ব একটি মোবাইল গেম চালু করছে। ‘রিসেট আর্থ’ নামের এই গেমটি ২০৮৪ সালের প্রেক্ষাপটে বানানো। গেমটিতে বিশ্বের ওজোন স্তর পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় এবং তিন কিশোর এই গ্রহটিকে বাঁচানোর চেষ্টা কাজ করে।

 

২০১৯ সালের অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলের ঘটনায় প্রায় ১৮ মিলিয়ন হেক্টর জমি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। মানুষ, জীববৈচিত্র্য কিংবা গাছপালা কেউই রক্ষা পায়নি সেই দাবানলের ভয়াবহতা থেকে। দাবানল শুরুর পর ‘স্পেস এপ’ ভিডিও গেমসের খেলোয়াড়েরা গেমিং কোম্পানিটির কাছে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবের চারদিনের মাথায় গেমারদের কাছ থেকে উঠে আসে ১ লক্ষ ২০ হাজার ডলার।

 

প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা মানবিক সংকটে ভিডিও গেমস খেলোয়াড়দের আর্থিক সাহায্য প্রদানের ব্যাপারটি অবশ্য এটাই প্রথম নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভিডিও গেম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ড ওয়ার্কসের তৈরি শিশুদের জনপ্রিয় ভিডিও গেম এনিমেল জ্যাম ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ দান করেছে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং শিক্ষাখাতের উন্নয়নে।

 

স্পেস এপ গেমসের সাবেক প্রধান কন্টেন্ট ক্রিয়েটোর ডেবোরাহ মেনশাহ-বনসু বলছেন, মানুষের এত আগ্রহ দেখে বোঝা যায় ভালো কাজের উদ্যোগগুলোয় নিজেদের যুক্ত রাখার ব্যাপারে তারা কতোটা আগ্রহী।

 

এছাড়াও ভিডিও গেমসের মাধ্যমে খুব কম সময়ে জনসংখ্যার একটা বৃহৎ অংশের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

 

ভিডিও গেমসের মাধ্যমে যদি তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করা তোলা যায় তবে ইতিবাচক বৈশ্বিক পরিবর্তন জটিল কোনো ব্যাপার হবে না বলেই ধারণা জাতিসংঘের।

 

 

সূত্র: ইউরো নিউজ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এসএফ

আরো পড়ুন

পশ্চিম লন্ডনে ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ নিহত

বছরে ৬০ হাজার কর্মী নেবে জার্মানি

পার্টিগেট কেলেংকারির জেরে জাস্টিস মিনিস্টারের পদত্যাগ