পশ্চিমা দেশগুলো সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা করছে। পুরো বিশ্বের শীর্ষ কূটনীতিকদের বৈঠক সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান রবিবার রিয়াদে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠকের আয়োজন করেন।
মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপীয় কূটনীতিকরা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে রিয়াদে একত্রিত হন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা।
বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে সৌদি আরব, সিরিয়ায় তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে চাইছে।
এই বৈঠকে আরব কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তুরস্ক, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল-শারা, যিনি আসাদবিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন। রিয়াদ বৈঠকে সিরিয়া প্রশাসনের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি উপস্থিত ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাস বলেন, সিরিয়ার নতুন প্রশাসন সকল গোষ্ঠী এবং নারীদের অন্তর্ভুক্ত করবে এবং “কোনও চরমপন্থার” আশ্রয় দেবে না, এমন শর্তে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে আলোচনা হবে।
জার্মানি প্রস্তাব করেছে যে সিরিয়ার সাধারণ জনগণের জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা যেতে পারে, তবে আসাদের মিত্রদের উপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখা হবে।
পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরোপিত হয়েছিল। এই যুদ্ধ ৫ লাখের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং সিরিয়ার অবকাঠামো ধ্বংস ও জনগণকে দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট সম্প্রতি জানিয়েছে, জরুরি সেবাগুলোর ওপর প্রভাব কমানোর জন্য সিরিয়ায় কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। তবে, তারা বলেছে যে দেশটির উন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে না।
সৌদি আরব এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াকে সহায়তা প্রদানের উপায় নিয়ে আলোচনা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশটি এই প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিতে চায়, তবে কতটা সময় এবং সম্পদ এই উদ্দেশ্যে ব্যয় করবে, সেটিই দেখার বিষয়।
সূত্রঃ ডেইলি সাবাহ
এম.কে
১৩ জানুয়ারি ২০২৫