বাংলাদেশ যে জিততে যাচ্ছে, দিনের প্রথম সেশনেই এমন ধারণা জন্মেছিল। ৬ উইকেটে ১০৮ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের চেয়ে তখনো ৯ রানে পিছিয়ে ছিল তারা। মধ্যাহ্নভোজ থেকে ফিরেই আঘাত হানেন মিরাজ।
সে আঘাত সামলে উঠার আগেই বিদায় নিয়েছেন পরের ব্যাটসম্যান। লড়াই যা করার সে দায়িত্বটা মোহাম্মদ রিজওয়ানের ঘাড়ে ফেলে বিদায় নিয়েছেন প্রায় সবাই। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের সে চেষ্টায় ১৪৬ রানে থেমেছে পাকিস্তান। জয়ের জন্য ৩০ রানের লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের ৩৮তম ওভারে মিরাজের তৃতীয় ডেলিভারিটি নিচু হয়ে গেলে সেটা ঠেকাতে চেষ্টা করেছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু ব্যাট লাগাতে ব্যর্থ হলে সেটি আঘাত করে তার প্যাডে। এলবিডাব্লিউ হয়ে দলীয় ১১১ রানে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন আফ্রিদি।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের তখন তিন উইকেট দরকার। উইকেটে আসা নাসিম শাহকে নিয়ে সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু সাকিবের ফাঁদে আটকে দলীয় ১১৮ রানে বিদায় নাসিমের।
পাকিস্তানি লোয়ার অর্ডার এ ব্যাটসম্যানের সামনে একের পর এক হাওয়ায় ভাসানো ডেলিভারি করছিলেন সাকিব। সেই ফাঁদে পা দিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন নাসিম (৩)।
পাকিস্তান তখন ১ রানে এগিয়ে। এরপর খুররম শাহকে সঙ্গে নিয়ে একা লড়াই চালাতে থাকেন রিজওয়ান। প্রায় একাই স্ট্রাইক নিয়ে আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকেন পাকিস্তানি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তবে দলীয় ১৪২ রানে মিরাজের বলে অপ্রয়োজনীয় শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন রিজওয়ান (৫১)।
এরপর মিরাজ এসে মোহাম্মদ আলীকে (০) ফিরিয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের গল্পের ইতি টানেন।
এম.কে
২৫ আগস্ট ২০২৪