ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আবারও জোর দাবি করেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অন্তত তিনটি শরীরকে নিজের উপস্থিতির কাজে ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন শরীরের মধ্যে কোনটি যে আসল পুতিন, তা বোঝা মুশকিল। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মুখপাত্র আন্দ্রে ইউসোভের তথ্য অনুযায়ী, যাদের শরীর পুতিনের বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারা পরাধীন জীবন যাপন করছেন। রুশ গোয়েন্দাদের কঠোর পাহারা এবং কড়া নজরদারির মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদের।
আজ বুধবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন আন্দ্রে ইউসোভ। সাংবাদিকদের তিনি জানান, এবার পুতিনের নববর্ষের ভাষণটি রাশিয়াজুড়ে মধ্যরাতের আগে সম্প্রচার করা হয়েছে। তবে এই ভাষণ দিয়েছে মূলত একটি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) দ্বারা নির্মিত পুতিন।
ভাষণটি দেখে পর্যবেক্ষকেরা মত দিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্টের ঘাড় তার শরীরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। মনে হচ্ছিল, টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার জন্য তার মাথাটি কিছুটা চাপানো হয়েছে।
পুতিন ইতিমধ্যে মারা গেছেন বলে কিছু রাশিয়ান সূত্রের দাবিকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্দ্রে ইউসোভ। এ ক্ষেত্রে পুতিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হিসেবে খ্যাত পশ্চিমাবিদ্বেষী রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলাই পেত্রুশেভের নেতৃত্বে কতগুলো ছায়া শরীর দিয়ে ক্রেমলিন পরিচালিত হচ্ছে।
আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, পুতিনের ছায়াশরীর ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, তিনি গুরুতর অসুস্থ কিংবা নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়ে তিনি বাংকারে লুকিয়ে আছেন।
ইউসোভ বলেন, পুতিনরূপী ওই তিনজনকে এক জায়গায় রাখা হয় না বলেও মনে করেন ইউসোভ। তিনি বলেন, ‘এরা এমন লোক, যারা নিজেদের নয়। এটাই বাস্তবতা। তারা একই শহরে একসঙ্গে থাকে না। একসঙ্গে চা পান করে না। এমন ছবি আমরা দেখব না।’
পুতিনের মতোই অবিকল ওই ব্যক্তিদের ভূমিকা শেষ হয়ে গেলে তাদের নাই করে দেওয়া হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন ইউসোভ। লাখ লাখ রাশিয়ানকে বোকা বানানোর বিষয়টি যেন কখনো ফাঁস না হয়ে পড়ে, তাই এমনটি করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং অধ্যাপক ভ্যালেরি সলোভে জোর গলায় দাবি করেছেন, পুতিনের একাধিক শরীর ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ, আসল পুতিন ২০২৩ সালের অক্টোবরে মারা গেছেন। বিভিন্ন সময়ে ভাষণরত পুতিনের ছবি ও ভিডিওর মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখিয়ে এমন দাবি করেন তিনি।
সূত্রঃ দ্য ডেইলি মেইল
এম.কে
০৪ জানুয়ারি ২০২৩