ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) মতে, ইউরোপ যাওয়া-আসা করা লাখ লাখ মানুষের জন্য নতুন ডিজিটাল সীমান্ত পরীক্ষা ব্যবস্থা ২০২৫ সালের অক্টোবরে চালু হতে পারে।
প্রতীক্ষিত এই “এন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম” (ইইএস) বর্তমানে প্রচলিত পাসপোর্টে স্ট্যাম্প দেওয়ার পদ্ধতির পরিবর্তে আসবে। এই ব্যবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর ভ্রমণকারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি এবং পাসপোর্টের তথ্য নিবন্ধন করতে হবে।
ডোভার বন্দরের প্রধান নির্বাহী ডগ ব্যানিস্টার বিবিসি সাউথ ইস্টকে বলেন, সিস্টেমটি চালুর নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নেই, তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ ১ নভেম্বর থেকে চালু হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসি’র একজন মুখপাত্র বলেন: “ইইএস চালু হওয়ার সম্ভাব্য সময় অক্টোবর ২০২৫।”
এই সিস্টেমটি মূলত ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর চালু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় তা বিলম্বিত হয়েছে।
নতুন এই ব্যবস্থায়, যুক্তরাজ্য ত্যাগ করার সময় ডোভার ও ফোকস্টোনে ইউরোটানেলে এবং লন্ডনের সেন্ট প্যানক্রাসে ইউরোস্টারে ফরাসি সীমান্ত পুলিশ পাসপোর্ট পরীক্ষা করবে।
ইইউ’র বাইরের দেশ যেমন যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের তাদের বায়োমেট্রিক তথ্য নিবন্ধন করতে হবে।
নতুন এই সিস্টেমের উদ্দেশ্য সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও, দীর্ঘ বিলম্বের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
মিস্টার ব্যানিস্টার বলেন: “আমরা আমাদের পশ্চিম ডকে একটি নতুন সুবিধা তৈরি করতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছি যাতে ভ্রমণকারীরা ফেরি টার্মিনালে পৌঁছানোর আগেই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেন।”
যুক্তরাজ্য সরকার গত বছর ঘোষণা করেছিল, নতুন ইইউ সীমান্ত পরীক্ষার জন্য ১০.৫ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থায়ন করা হয়েছে, যার মধ্যে ডোভার বন্দর, ফোকস্টোনে ইউরোটানেল এবং সেন্ট প্যানক্রাসে ইউরোস্টার অন্তর্ভুক্ত।
ইউরোটানেল জানিয়েছে, তারা নতুন সীমান্ত পরীক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত।
তারা আরও জানিয়েছে, তারা টার্মিনালে যাত্রীদের প্রক্রিয়াকরণ করার জন্য একটি নতুন জায়গা নির্ধারণ করেছে যাতে যাত্রীদের সমস্যা দ্রুততার সাথে সমাধান করা সক্ষম হয়।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
১৬ এপ্রিল ২০২৫