ফার্মাসিতে কাউন্টারের পিছনে বিক্রি হওয়া কিছু কাশির ঔষধ রোগীর সুরক্ষার কথা চিন্তা করে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত জানায় যুক্তরাজ্য ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ফলকোডিন নামক একটি উপাদান কাশির সিরাপের সাথে যুক্ত থাকলে তা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। রোগীরা কাশির ট্যাবলেট বা সিরাপ খাওয়ার আগে প্যাকেজিং পরীক্ষা করা উচিত, প্রত্যেকের দেখা উচিত উপাদানগুলির মধ্যে ফোলকোডিন তালিকাভুক্ত রয়েছে কিনা। যদি ফলকোডিনের উপস্থিতি থাকে তবে ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলে ভিন্ন ঔষধ বেছে নেওয়া প্রয়োজন ।
তারা সতর্ক করে বলেন, ফোলকোডিনযুক্ত পণ্যগুলির কোনও প্রেসক্রিপশন প্রয়োজন হয় না যা নিয়ে তারা চিন্তিত।
ফলকোডিন ১৯৫০ এর দশক থেকে কাশি দমনকারী হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ডাঃ লায়লা হ্যানবেক, অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট একাধিক ফার্মেসী থেকে ফলকোডিন যুক্ত কাশির ঔষধ অপসারণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। তবে বিকল্প কাশি এবং ঠান্ডাজনিত রোগের ঔষধ রাখার জন্যও ফার্মেসিকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য জুড়ে ফার্মেসীগুলি রোগীর সুরক্ষা খুব গুরুত্ব সহকারে দেখে থাকে।
রয়্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটির অধ্যাপক ক্লেয়ার অ্যান্ডারসন বলেছিলেন: “ফলকোডিন ব্যবহার করা কিছু রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো ওভার দ্যা কাউন্টার মেডিসিন নেয়ার আগেও ফার্মাসিস্টের উপদেশ নেয়া উচিত। হালকা কাশি হলে গরম পানিতে লেবুর রস এবং মধু দিয়েও চিকিৎসা নেওয়া যায়। শিশুদের জন্য তা খুবই উপকারী।
অধ্যাপক অ্যান্ডারসন বলেছিলেন, ” যদি আপনার কাশি বেশি সময় ধরে থাকে তবে স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের পেশাদারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।”
এমএইচআরএর ডাঃ অ্যালিসন কেভ বলেছেন, “সুরক্ষাকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি এবং আমরা রোগীদের সুরক্ষায় সবসময় পর্যালোচনা করে থাকি।”
এম.কে
১৫ মার্চ ২০২৩