ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সর্বোচ্চ সিনিয়র বিচারক ঋষি সুনাকের রুয়ান্ডা নির্বাসন নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ১৫০ জন বিচারককে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন।
লেডি চিফ জাস্টিস, সু কার বলেছেন, নতুন বিচারকদের কীভাবে নিযুক্ত করা যায় তা শুধু বিচার বিভাগের এখতিয়ার হওয়া উচিত ছিল। তিনি আরও যোগ করেন, সরকার কর্তৃক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিচারিক দায়বদ্ধতাও রয়েছে।
লর্ড চ্যান্সেলর এবং বিচার বিভাগীয় সচিব অ্যালেক্স চক আদালতের সক্ষমতা বাড়ানোর এবং রুয়ান্ডা বিলের আওতায় আশ্রয় আপিলের ফার্স্ট ট্র্যাকের জন্য নতুন বিচারকদের নিয়োগ পরিকল্পনা নিয়েও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ফার্স্ট ট্র্যাকে দ্রুততম সময়ে রায় পেতে নতুন বিচারক নিয়োগ অতীব জরুরি।
মঙ্গলবার রাতে কনজারভেটিভ ডেপুটি চেয়ারস লি অ্যান্ডারসন এবং ব্রেন্ডন ক্লার্ক-স্মিথ রুয়ান্ডা বিলে সংশোধনীর পক্ষে ভোট দেওয়ার পরে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কেমি বাডেনোচ সংসদীয় আসনের পার্লামেন্ট সেক্রেটারি জেন স্টিভেনসনও তার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যা কনজারভেটিভ সরকারের উপর চাপ অব্যাহত রেখেছে।
সরকারী সূত্রগুলি জানায়, ফার্স্ট ট্র্যাকে মামলা মোকাবেলায় ১৫০ জন বিচারককে নিয়োগ এখন খুবই প্রয়োজন।
লেডি চিফ জাস্টিস কারের নতুন বিচারক নিয়ে করা মন্তব্যের আগেই বিচার বিভাগীয় মন্ত্রী আশ্রয়প্রার্থী আপিলের রায় গুলো দ্রুততর সময়ে মীমাংসার জন্য বিচারক নিয়োগের পক্ষে তার মত প্রকাশ করেছিলেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আরো ২৫ টি কোর্টরুমের বন্দোবস্ত করতে যাচ্ছে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, ” আমরা আত্মবিশ্বাসী অতিরিক্ত কোর্টরুম ও বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসন আইনের আপিলের বিশাল ফাইলগুলো তাৎক্ষণিকভাবে হ্রাস করা সম্ভব হবে।”
তবে লেবার দলীয় শ্যাডো হোম মিনিস্টার স্টিফেন কিনক বলেন, “ সরকারের রুয়ান্ডা নীতি অপ্রয়োজনীয়, অকার্যকর এবং বেআইনী যার কারণে আমরা বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। যুক্তরাজ্য আইনের শাসনের দেশ কিন্তু এই রুয়ান্ডা নীতি সারা বিশ্বের কাছে আমাদের মাথা হেঁট করবে।”
সাবেক অভিবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক দ্বারা চ্যালেঞ্জের মুখে স্টিফেন কিনক বলেন, সুপ্রিমকোর্টও বিশ্বাস করে নাই রুয়ান্ডা নিরাপদ দেশ। আমরা আদালতের রায়ের সাথে সহমত পোষণ করেছি।
এম.কে
১৭ জানুয়ারি ২০২৪