14 C
London
May 2, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে ব্রিটিশ সরকারকে তুলোধুনো করলেন ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ারসি

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব এবং গাজা, পশ্চিম-তীরে ইসরায়েলের অসম হামলার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের অবস্থান নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ারসি। হাউজ অব লর্ডসের এই সদস্যের অভিযোগ, ইসরায়েলকে তিরস্কার করতে কপটতা এবং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় পদক্ষেপ নিতে ব্রিটেনকে ব্যর্থ ঘোষণা করেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার (২০মে) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডসে একের পর এক যুক্তিতর্ক দিয়ে ব্রিটিশ সরকারকে আক্রমণ করেন সাঈদা ওয়ারসি।

 

তিনি বলেন, সরকার বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখার দাবি করে ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু তারা (ফিলিস্তিন-ইসরাইলে) দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ। ব্যর্থ হয়েছে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও। একই সঙ্গে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস হামলা বন্ধে।

 

হাউজ অব লর্ডসে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা (সরকার) দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের একটি নীতি গ্রহণ করেছি, ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিই না। এমনকি মন্ত্রীরা দেশটির নাম পর্যন্ত নিতে চান না। আমাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি নীতি আছে। কিন্তু তা শুরু করার কোনো লক্ষণ নেই। তারপর আমরা দেখেছি, আমাদের সরকারের হৃদয়ে এখন যা, তা হলো- তারা তাদের নিজেদের বর্ণিত নীতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হচ্ছে।

 

ব্যারোনেস ওয়ারসি বলেন, আমাদের একটি নীতি বা পলিসি হলো, বসতি স্থাপন অবৈধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। কিন্তু যখন প্রতি বছর ইসরায়েল সরকার নতুন নতুন বসতি স্থাপন অনুমোদন দিচ্ছে। তারা এভাবে ফিলিস্তিনির ভূমি গ্রাস করে নিচ্ছে। কিন্তু আমরা ইসরায়েলকে বসতি স্থাপন, জোরপূর্বক উচ্ছেদ এবং বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়া বন্ধে কিছুই করছি না।

 

ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের মন্ত্রীপরিষদের সাবেক এই সদস্য হাউজ অব লর্ডসকে স্মরণ করিয়ে দেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অখণ্ড অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু যখনই অবৈধ দখলদাররা ফিলিস্তিনের কয়েক শত বছরের স্থাপনা বাড়িঘরে প্রবেশ করে, তাদেরকে জোর করে উচ্ছেদ করে, তারপর সেখানে অবৈধ বসতি স্থাপন করে- তখন ব্রিটিশ সরকার তার গৃহীত নীতি অনুযায়ী কাজ করে না।

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) অর্থায়ন ও সমর্থন দেয়া এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টি দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করেছে বলে এর নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

 

তিনি জানান, একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েল সরকার যে যুদ্ধাপরাধ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তার বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বিরোধিতা করছে সরকার।

 

তার মতে, প্রতিবার আমরা (যুক্তরাজ্য) আমাদের নীতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হই। আর এর মধ্য দিয়ে আমরা উগ্র ডানপন্থি ইসরায়েলি সরকারকে আমাদের তরফ থেকে একটি বার্তা দেই। তাহলো, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যা-ই করবে তার জন্য কোনো মূল্য দিতে হবে না। ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থি কট্টরতার উত্থান ঘটাতে পুরোপুরি সাহস দেয়া হচ্ছে এর মাধ্যমে।

 

তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনে যে নির্যাতন চলছে, সেখানকার মানুষদের যে দুর্দশা সে বিষয়ে জনগণকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে পারে।

 

২১ মে ২০২০
নিউজ ডেস্ক

আরো পড়ুন

ইরানের জালে ইংল্যান্ডের গোল উৎসব

দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর ইডেন কলেজ বন্ধ, ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক

মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমতি পেলো বঙ্গভ্যাক্স