বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসায় ফেইসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করেন মহসিন খান নামের একজন ব্যবসায়ী। জানা যায়, তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর, এবং প্রাক্তন মডেল তিনার পিতা।
ঘটনাটি ফেইসবুকে দেখে অনেকে ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলা থেকে মহসিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
বুধবার রাতে মহসিনের লাশ উদ্ধারের পর ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেছিলেন, মৃতদেহের পাশেই তার বৈধ পিস্তলটি পড়ে ছিল। প্রস্তুতি নিয়েই তিনি আত্মহত্যা করেছেন, চিরকুটে সবকিছু লিখেও গেছেন।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, ব্যবসা করতেন এবং লোকসানের ভারে কীভাবে জর্জরিত হয়েছেন, সব কিছুই লিখেছেন।
ওই আত্মহত্যার বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী একেএম ফয়েজ।
শুনানিতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রেজা-ই-রাকিব। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস পরে সাংবাদিকদের বলেন, এই ভিডিও অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছে আদালত।
বিটিআরসির সাথে দ্রুত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে আদেশের বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করতেও সরকারপক্ষের আইনজীবী এবং বিটিআরসির আইনজীবীকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
ফেইসবুক লাইভে মহসিন খান নিজের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি নিজের নিঃসঙ্গ জীবনযাপনে নানা কষ্টের কথা বলেছিলেন।
বিভিন্নজনের কাছ থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা পাওনার কথাও বলেছিলেন মহসিন। পরিবারের সদস্যদের নিয়েও মনোবেদনার কথা বলেন তিনি। দুই সন্তানকে মিলেমিশে থাকতেও বলেন তিনি।
চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ফেইসবুকসহ সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করে ছয় ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
এ ছাড়া ওই ভিডিও ইলেকট্রনিক মাধ্যমসহ যে কোনো ধরনের মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত এই আদেশ দেয়।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
নিউজ ডেস্ক