TV3 BANGLA
ইউরোপশীর্ষ খবর

ফ্রান্সে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থিদের আবেদন শুনানি ছাড়াই বাতিল

ফ্রান্সে অবস্থানরত অনেক বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, প্রথম দফায় আশ্রয় আবেদন বাতিল হওয়ার পর আদালতে আপিল করা হলেও তা শুনানি ছাড়াই প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন ফরাসি জাতীয় আদালত (সিএনডিএ)। ফরাসি আইনি পরিভাষায় ‘অরদোনোন্স’ হিসেবে পরিচিত এসব স্বয়ংক্রিয় প্রত্যাখানে বেশ উদ্বিগ্ন আশ্রয় আদালতে লড়াই করা আইনজীবীদের একটি বড় অংশ।

 

সম্প্রতি ইনফো মাইগ্রেন্টসের একটি প্রতিবেদনে উঠেছে আসে সেখানকার ভুক্তভোগী বাংলাদেশিদের এই দুঃখজনক সংবাদ। বলা হয় সোমবার থেকে, শত শত অনথিভুক্ত কর্মী বৈধতার দাবিতে বৃহত্তর প্যারিস অঞ্চলের এক ডজন কোম্পানিতে ধর্মঘট করছে। বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত, ২৫০ জনেরও বেশি ধর্মঘটকারী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

 

এই অনথিভুক্ত কর্মচারীরা বাণিজ্য, ক্যাটারিং, খাবার সরহবরাহ, পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন অস্থায়ী কাজে প্যারিস (৭৫ ), এসোন (৯১ ) এবং সেইন-সেন্ট-ডেনিসের (৯৩ ) মতো ডিপার্টমেন্টে কর্মরত রয়েছেন।

 

বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের সমন্বয়ক ফ্রান্সের অন্যতম প্রধান শ্রমিক সংগঠন সিজিটি’র প্রতিনিধিরা, ল্যুভর মিউজিয়ামের পিরামিডের সামনে অবস্থিত ক্যাফে মারলে নামের একটি রেস্তোরাঁয় কর্মরত অনথিভুক্ত কর্মচারীদের বৈধতার ব্যাপারে কথা বলতে কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে মিলিত হন।

 

সিজিটি-এর অন্যতম প্রধান পরিচালক মার্লিন পুলা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “প্যারিসের কেন্দ্রস্থলের ল্যাটিন এলাকায় অবস্থিত চুক্তিভিত্তিক চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান ‘টার্গেট’-এ অবশ্য আন্দোলনের দেখা মেলেনি৷ কারণ অনিয়মিতদের বৈধতাও কাজের অনুমতি লাভের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নথি দিতে রাজি হয়েছে প্রতিষ্টানটি।”

 

শ্রমিক ইউনিয়নের এই কর্মকর্তা ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, “অন্যদিকে অন্যান্য ভোগ্যপন্য বাজারজাতকারী ফরাসি চেইন শপ মোনোপ্রি, খাবার সরবরাহ প্লাটফর্ম স্টুয়ার্টের মতো কোম্পানিগুলোতে কর্মরত অনিয়মিত শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এ সকল প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি এখনো আগের মতো স্থির অবস্থায় রয়েছে।”

 

তিনি বলেন, “শ্রম পরিদর্শক এসব প্রতিষ্ঠানে তদন্ত চলাকালীন সময়ে জিজ্ঞেস করলে অনিয়মিত শ্রমিকরা এখানে কাজ করার কথা অস্বীকার করেছে কোম্পানিগুলো। কোন অনথিভুক্ত অভিবাসীদের নিয়োগ দেওয়ার কথা অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানগুলো।”

 

এসব কোম্পানিতে অনথিভুক্ত কর্মীদের মধ্যে অনেকেই লকডাউন চলা অবস্থায় আবর্জনা সংগ্রহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

 

কোভিড -১৯ মহামারির কারণে লকডাউনে ফরাসি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত অনিয়মিত ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জায়গা নিয়ে বিতর্কের সূচনা হয়েছে৷ কারণ অনেক প্রয়োজনীয় কাজ অনথিভুক্ত কর্মীরা দখল করেছে বলে বিতর্ক উঠেছে।

 

৩১ অক্টোবর ২০২১
এনএইচ

আরো পড়ুন

বিভিন্ন ধরনের হাউজিং ও মর্গেজ

হ্যাকিংয়ের শিকার ব্রিটেনের নির্বাচনি সংস্থা

সামরিক খেতাব এবং রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা হারালেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

অনলাইন ডেস্ক