বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির সময় লকডাউনের বিধি ভেঙে পার্টি করার বিষয়ে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন এমন প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
এক বছর তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার দেয়া ওই প্রতিবেদনে কমিটি ৯০ দিনের জন্য বরিসকে পার্লামেন্ট থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। যদিও বরিস জনসন আগেই পদত্যাগ করায় সেই সুপারিশ আমলে নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম।
এদিকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন বরিস জনসন।
তদন্ত কমিটি জনসনকে ‘অপব্যবহার এবং ভয় দেখানোর চেষ্টায় জড়িত’ বলেও অভিযুক্ত করেছে।
প্রতিবেদনে ডাউনিং স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত ছয়টি ইভেন্টের বিবরণ দেয়া হয়েছে যেখানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এবং বিরোধী লেবার পার্টির উভয় সদস্য রয়েছে।
কমিটি বলছে, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে ইচ্ছাকৃতভাবে হাউসকে বিভ্রান্ত করে জনসন গুরুতর অবমাননা করেছেন। অবমাননাটি আরও গুরুতর ছিল কারণ এটি প্রধানমন্ত্রী, সরকারের সবচেয়ে প্রবীণ সদস্যের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছিল। পূর্বে এমন কোন নজির নেই যে প্রধানমন্ত্রী নিজেই ইচ্ছাকৃতভাবে হাউসকে অব কমন্সকে বিভ্রান্ত করেছেন।
জনসন যদি এখনও সংসদ সদস্য থাকতেন তবে তাকে ৯০ দিনের জন্য হাউস থেকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করত বলে কমিটি জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেন বরিস জনসন। পদত্যাগের পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তারা এখনো এতটুকুও প্রমাণ করতে পারেনি যে, আমি জেনেশুনে বা বেপরোয়াভাবে সেই বিধি ভঙ্গ করেছি।
পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, আপাতত পার্লামেন্ট ত্যাগ করা খুবই দুঃখজনক । তবে সর্বোপরি আমি আতঙ্কিত ছিলাম যে আমাকে অগণতান্ত্রিকভাবে একটি তীব্র পক্ষপাতমূলক কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জোর করে বহিষ্কার করা হতে পারে।
এম.কে
১৬ জুন ২০২৩