হোম অফিসের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে তারা ১৭,০০০ এরও বেশি আশ্রয়প্রার্থীর অবস্থান জানেন না যাদের এসাইলাম আবেদন বন্ধ করা হয়েছে।
এই সংখ্যাটি আবির্ভূত হয়েছিল ব্যাকলগ নিয়ে সাংসদেরা ঋষি সুনাককে চাপ দেয়ার কারণে। অনেক আবেদনকারীর হোম অফিসের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে হোম অফিস তাদের এসাইলাম আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়।
হোম অফিসের সিনিয়র সিভিল কর্মকর্তা সাইমন রিডলি হোম অ্যাফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটিকে বলেন, ” আমি মনে করি না যে আমরা জানি এই সমস্ত লোক কোথায় অবস্থান করছে। তারা আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিল যাদের ট্র্যাক করা আর যায় নাই। তাদের অনেকেই হয়ত নিজের দেশে ফিরে গিয়েছে।”
কর্মকর্তারা কমিটিকে জানান, আশ্রয় প্রার্থীরা দুটি মামলার সাক্ষাৎকারে অনুপস্থিত হলে তাদের আবেদন হোম অফিসের পক্ষ হতেই উইড্র করে নেয়া হয়। গত ২০২১ সালে ২,১৪১ টি আবেদন প্রত্যাখ্যান বা প্রত্যাহার করা হয়, যদিও ২০০৪ সালে ২৪,৪০৩ প্রত্যাখ্যান বা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
যখন কোনও আবেদন প্রত্যাহার করা হয় এর অর্থ আবেদনকারী যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে রয়েছে এবং তাকে যে কোনো সময় অপসারণ করা যেতে পারে।
হোম অফিসের প্রবীণ কর্মকর্তা স্যার ম্যাথিউ রাইক্রফ্ট বলেন, সরকার সর্বদা আত্মবিশ্বাসী ছিল প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নতুন কেস ওয়ার্কার নিয়োগ করেছিল সরকার।
তবে সিলেক্ট কমিটিতে থাকা কনজারভেটিভ সাংসদ টিম লুটন বলেন, ” আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় প্রেরণের পরিকল্পনা নিয়ে সরকার অব্যাহত চাপে থাকায় কর্মকর্তারা ব্যাকলগ হ্রাস করার জন্যও চাপের মধ্যে রয়েছেন। তবে আদালত কর্তৃক রুয়ান্ডা স্কিমটি বেআইনী বলে রায় দেয়ায় কনজার্ভেটিভ সরকার নতুন চাপে উপনীত হয়েছে।”
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্য আদালত আশ্রয়প্রার্থীদের একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশে প্রেরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাদের মতে রুয়ান্ডাতে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রেরণ করলে যুক্তরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গ করা হবে। যদিও যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, রুয়ান্ডাকে নিরাপদ দেশ হিসাবে ঘোষণা করবে তার সরকার এবং নিরাপত্তার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের উদ্বেগগুলি পূরণ করবেন তারা।
সরকারের মতে, রুয়ান্ডা নীতি ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার জন্য ছোট নৌকা ব্যবহার করতে বাধা দেবে। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ২৮,০৭২ জন লোক ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেছে। তাই অবৈধ অভিবাসন বন্ধে সরকারের কাছে আর দ্বিতীয় কোন পন্থা আছে বলে মনে করেন না সরকার সংশ্লিষ্টরা।
এম.কে
৩০ নভেম্বর ২০২৩