ইতালিতে কৃষি ও স্পন্সর ভিসায় আসতে আগ্রহী আবেদনকারীদের নিয়োগকর্তার মাধ্যমে অনলাইন আবেদনের প্রথম দিনকে ক্লিক-ডে বলা হয়। এবার বিভিন্ন খাত ও সেক্টর অনুযায়ী, এটির তারিখ ছিল ২, ৪ এবং ১২ ডিসেম্বর। কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে মৌসুমি ও স্পন্সর ভিসায় বিদেশি কর্মী আনতে চলতি বছরের অক্টোবরে ডিক্রি ও গ্যাজেট প্রকাশ করেছিল ইতালি৷
স্পন্সর ভিসায় কর্মী আনতে যেসব দেশের সঙ্গে ইতালির বিশেষ সহযোগিতা চুক্তি আছে, এমন দেশের নাগরিকদের ডিসেম্বরের দুই তারিখ থেকে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ প্রায় ৩৫টি দেশ এই তালিকায় রয়েছে।
গত ২ ডিসেম্বর আবেদনের আহ্বানে প্রায় ৩৯ হাজার কোটার বিপরীতে দুই লাখ ৪২ হাজার ৮২৬টি আবেদন নথিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া গৃহশ্রমিক ও পরিচর্যাকারী কোটায় সরকারের পক্ষ থেকে নয় হাজার ৫০০টি আবেদন আহ্বান করা হলেও প্রথম চার মিনিটেই আবেদন জমা পড়ে ১১ হাজার ৩৬৩টি৷ দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে৷
যেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি নেই সেসব দেশের অভিবাসীদের জন্য অ-মৌসুমি বা নন-সিজনাল বা স্পন্সর ভিসায় ক্লিক ডে ছিল ৪ ডিসেম্বর। ওই দিন ৯ হাজার ৫০০ কোটার বিপরীতে মোট ৭৬ হাজার ৭১১টি আবেদন জমা করেছেন আগ্রহী অভিবাসীদের নিয়োগকর্তারা। ১২ ডিসেম্বর ছিল মৌসুমি বা সিজনাল ভিসায় আবেদনের প্রথম দিন বা ক্লিক-ডে। আবেদন শুরু হয় সকাল ৯ টায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন দপ্তর জানিয়েছে, আবেদন শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৮২ হাজার ৫৫০টি কোটার বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৮৬ হাজার ৭৯টি। সর্বশেষ তথ্য এই অনুযায়ী এই খাতে এখন পর্যন্ত জমা পড়েছে দুই লাখ ৬১ হাজার ৪৬৯টি আবেদন।
ইতালিতে ইউরোপের বাইরে থাকে আসা অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কৃষি ও স্পন্সর ভিসায় আসেন ভারতীয়রা। এরপরই আছেন মরক্কো, আলবেনিয়া, সেনেগাল, পাকিস্তান, তিউনিশিয়া, নাইজেরিয়া এবং মেসেডোনিয়ানরা।
অপরদিকে, বাংলাদেশিরা বিপুল সংখ্যক আবেদন করলেও ভিসা পাওয়ার সংখ্যা খুবই কম। এক্ষেত্রে উপযুক্ত ও সঠিক মালিক খুঁজে না পাওয়া এবং আবেদনে ক্রটিই কারণ বলে মনে করা হয়।
ইতালির কৃষক সমিতিগুলো জানায়, বিশেষ কর্মীরা দেশটির কৃষি খাতে ট্রাক্টর চালক, গ্রিনহাউস কৃষক এবং ফসল ছাঁটাইয়ের কাজে বিরাট ভূমিকা পালন করছেন। এসব কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ফল এবং সবজি সংগ্রহে জড়িত সাধারণ শ্রমিকদেরও প্রয়োজন কৃষি সেক্টরে।
এম.কে
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩