বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে দেশের রপ্তানির জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঢাকা সফররত ইইউর উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল আজ বুধবার সরকারের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে এ কথা জানিয়েছেন।
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অধিকাংশ সময় শ্রমমান নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বৈঠকসূত্র জানায়, এর বাইরে বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত হবে বলে ইইউ প্রতিনিধি দলটি আশা প্রকাশ করেছে।
ইউরোপের ২৭ দেশের সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনি প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী।
ইইউ দলটি শ্রমমান বাড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা যায়। শ্রম আইনের পরবর্তী সংশোধনীতে বিষয়গুলো যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে ইইউ।
ইইউ কর্মকর্তারা তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসতে এবং বাংলাদেশকে উৎপাদন প্রক্রিয়া ও রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দেন। এই দুই ধরনের বৈচিত্র্য চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সহায়ক হবে বলে তারা মনে করেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান।
এম.কে
১৬ নভেম্বর ২০২৩