যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত হয়ে দুটি ডলফিন মারা গিয়েছে। গত মাসে ডেভন এবং পেমব্রোকশায়ারের সমুদ্র সৈকতে ডলফিনগুলোকে পাওয়া গিয়েছে।
তাদের মধ্যে একটি ডলফিনের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জারের অত্যন্ত সংক্রমন স্ট্রেইন এইচ৫এন১ রয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়। এটা এমন এক ধরন যা গত ১৮ মাস ধরে বিশ্বজুড়ে কয়েক মিলিয়ন পাখির মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।
মৃত্যুগুলি সরাসরি ভাইরাসের কারণেই হয়েছিল বলে নিশ্চিত করা হয়। বিশ্বব্যাপী এর আগেও বার্ড ফ্লুয়ের কারণে ডলফিনের মৃত্যু হয় তবে যুক্তরাজ্যের জন্য এইবারই প্রথম। যুক্তরাজ্যে সিল, ওটার এবং শিয়াল সহ ২৩ ধরনের স্থন্যপায়ী প্রাণী আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে। ধারণা করা হচ্ছে ভাইরাসটি পাখি হতে এইসব স্থন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটিয়েছে।
প্রাণী ও উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘রুটিন চেকের অংশ হিসাবে গৃহীত নমুনা হতে দুটি ডলফিনে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার উপস্থিতি সনাক্ত করা হয়। এই প্রাণীগুলি মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তারা বলেছে, এই তথ্য বিশ্ব অ্যানিমাল হেলথের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
পাখির ফ্লু হতে মানুষের কাছে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। পাখিদের বিষ্ঠা ও লালা হতে ভাইরাস বিভিন্ন স্থানে ছড়ায়।
তবে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক, টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যে কেউ বন্যপ্রাণীদের সংস্পর্শে আসে তাকে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং অসুস্থ বা মৃত বন্য পাখির স্পর্শ এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চলমান এই মহামারী ডিম এবং মাংসের সরবরাহের সমস্যা সৃষ্টি করেছে। আমেরিকা এখন বার্ড ফ্লুর বিরুদ্ধে মুরগি টিকা দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।