শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই তার সঙ্গী আসের মালিককে ইসলামিক রীতিতে বিয়ে করেছেন। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জীবনসঙ্গী হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আসার মালিককে। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিয়ের ছবি মালালা নিজেই টুইটারে প্রকাশ করেছেন মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর)।
২৪ বছর বয়সী এই শান্তিকামী কর্মী জানিয়েছেন, এই দিনটি তার জীবনের একটি মূল্যবান দিন।
২০১২ সালে তালেবানের হাতে গুলিবিদ্ধ হবার পর পাকিস্তানের নাগরিক মালালা ইউসুফজাই ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস্-এ রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় মালালা জানিয়েছেন, “আসের এবং আমি একত্রিত হয়েছি জীবনের জন্য”।
“সামনের দিনগুলোতে একসাথে পথচলার জন্য আমরা বেশ উদ্বেলিত,” লিখেছেন মালালা।
রয়টার্স লিখেছে, বিশ্বের অনেক অঞ্চলে, বিশেষ করে পশ্চিমের দেশগুলোতে মালালা তার সাহস আর নারী শিক্ষার আন্দোলনে ভূমিকার জন্য প্রশংসিত। তবে তার নিজের দেশ পাকিস্তাএনর মানুষ তার অবস্থান নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত।
পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার মেয়ে মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই। নারী শিক্ষার বিরোধী তালেবান জঙ্গিদের এলাকায় বসে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পক্ষে বিবিসি ব্লগে লেখালেখি করে তিনি যখন পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়েন, তখন তার বয়স মাত্র ১১।
নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় তাকে পড়তে হয় প্রাণনাশের হুমকির মুখে। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকার মিনগোরাত এলাকায় ১৪ বছর বয়সী মালালা ও তার দুই বান্ধবীকে স্কুলের সামনেই গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা।
পাকিস্তানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে বুলেট সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও পরে যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই ঘটনা বিশ্বেজুড়ে আলোড়ন তোলে, মালালর স্বপ্ন সফল করতে ২০১২ সালের ১০ নভেম্বরকে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
১০ নভেম্বর ২০২১
নিউজ ডেস্ক