অভিবাসননীতির একজন উপদেষ্টা সতর্ক করেছেন যে, নেট মাইগ্রেশন কমানোর জন্য সরকার যদি বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা সীমিত করে তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।
সরকারের মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজরি কমিটির প্রধান প্রফেসর ব্রায়ান বেল বলেছেন, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের দমন করার জন্য ঋষি সুনাকের সম্ভাব্য পরিকল্পনা “অনেক বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রান্তে ঠেলে দিতে পারে”।
বিবিসি রেডিও ফোর-এর টুডে প্রোগ্রামকে তিনি বলেছেন: “বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ শিক্ষার্থীদের পড়াতে গিয়ে অর্থ হারায়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপর বেশি চার্জ করে সেই ক্ষতি পূরণ করে নেয়। আপনি যদি আন্তর্জাতিক রুট বন্ধ করে দেন তবে আমি নিশ্চিত নই যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে টিকে থাকবে।”
তিনি বলেন, যদি বিদেশি শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র “এলিট” বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে লন্ডন, কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড ভাল করবে। কিন্তু নিউক্যাসলের কী হবে, স্কটল্যান্ডের কী হবে?”
এদিকে বিদেশি শিক্ষার্থী আসা কমে গেলে ব্রিটিশ শিক্ষার্থীদের খরচ বাড়ার আশংকায় আছে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে টপ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি সিমীত করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, বৃহস্পতিবার এমন বিবৃতি জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট। যুক্তরাজ্যের নেট মাইগ্রেশন তখন রেকর্ড উচ্চতায়।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামগ্রিক স্তরে অভিবাসন কমিয়ে আনার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ঋষি সুনাক। এক্ষেত্রে আমরা সবরকমের বিকল্প বিবেচনায় আনছি, যারমধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীর উপর নির্ভরশীলতা অন্তর্ভূক্ত।
২৮ নভেম্বর ২০২২
এনএইচ