TV3 BANGLA
শীর্ষ খবরসারাদেশ

বিদেশে গিয়ে এনআইডি কার্যক্রম চালাবে ইসি

দেশের সীমানা পেরিয়ে এবার বিদেশেও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবাকে নাগরিকদের কাছে নিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা।

 

ইসি কর্মকর্তারাদের বরাত দিয়ে শনিবার (১৬ অক্টোবর) বাংলানিউজ জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরে ৪০টি দেশে এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের হাইকমিশন বা অ্যাম্বাসির মাধ্যমে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এতে এনআইডি কর্মকর্তারা দেশ থেকে গেলে সেখানকার হাইকমিশন/অ্যাম্বাসির লোকবলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন।

 

রেজিস্ট্রেশন টিম পাঠানো ও এ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় আইডিইএ (স্মর্টকার্ড) প্রকল্প-২ এর সংশ্লিষ্ট খাত থেকে ব্যয় করা হবে। আইডিইএ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)-এ আগামী ৫ বছরে পর্যায়ক্রমে ৪০টি দেশে উল্লিখিত কার্যক্রম নিতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ভার ধরা রয়েছে।

 

২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর দুবাই প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থারত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এরই মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের দ্বার উন্মোচিত করে সংস্থাটি। কিন্তু অনলাইন কার্যক্রমে তেমন সাড়া পড়েনি। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে থেমে যায় সব প্রক্রিয়াই।

 

জানা গেছে, দুবাই থেকে সাড়ে পাঁচশ জনের মতো অনলাইনে আবেদন করেছেন। যুক্তরাজ্যেও তেমন সাড়া নেই। মালয়েশিয়া থেকে এসেছে ৬০টির মতো আবেদন। এই অবস্থায় নতুন করে বিদেশে গিয়েই নাগরিকদের সেবা দেওয়ার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ইসি।

 

এদিকে বিদেশে কর্মী পাঠিয়ে এনআইডি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে প্রথম বেছে নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দিলে নীতিগত সিদ্ধান্তটি নেয় সংশ্লিষ্ট কমিটি।

 

১৬ অক্টোবর ২০২১
নিউজ ডেস্ক

আরো পড়ুন

No Human is Illegal | February 16

বাড়ির কাজে ‘অবৈধ অভিবাসীকে’ রাখায় সমালোচিত সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রবাসীদের সম্মানে বিশ্বনাথে দেশের প্রথম ‘প্রবাসী চত্বর’