বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি গত মে মাসে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এবার পরিচালকদের ভোটে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পেলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
এছাড়া পরিচালকদের ভোটে সহসভাপতি (এক) নির্বাচিত হয়েছেন শাখাওয়াত হোসেন। তিনি বরিশাল বিভাগ থেকে বিসিবি পরিচালক নির্বাচিত হন। এছাড়া বিসিবির সভাপতি বুলবুলের (ক্রিকেট পর্যটন বিষয়ক) উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শাখাওয়াত একজন পর্যটন খাত বিশেষজ্ঞ।
বিসিবির সহসভাপতি (দুই) নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ। তিনি গত বছরের আগস্টে বিসিবির সভাপতি হয়ে গত মে মাসে দায়িত্ব হারান। গুঞ্জন ছিল বিকেএসপির সাবেক কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বিসিবির সহসভাপতির দায়িত্ব পাবেন। তার জায়গায় চমক হয়ে এসেছে শাখাওয়াতের নাম।
বিসিবি নির্বাচন থেকে তামিম ইকবাল সরে দাঁড়ানোর পর সভাপতি পদে বুলবুলের জয় অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। সভাপতি পদে বুলবুলের বিরুদ্ধে প্রার্থীই ছিলেন না কেউ। তাই ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
একই দিন ঢাকা বিভাগ থেকে ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা ও বিভাগ ক্যাটাগরিতে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন বুলবুল। ঢাকা বিভাগের কাউন্সিলরদের ১৫টি ভোট পেয়ে পরিচালক হন তিনি।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ৩টি ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৩ জন পরিচালক। ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা ও বিভাগ কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন ১০ জন, ক্যাটাগরি-২ বা ঢাকার ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১২ জন। ক্যাটাগরি-৩ অর্থাৎ সাবেক ক্রিকেটার এবং বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোটা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১ জন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ১৯২ জন। তবে নরসিংদী থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ন না দেয়ায় ভোটার সংখ্যা হয়েছে ১৯১ জন। ১৫টি ক্লাবের মনোনীত কাউন্সিলরদের নিয়ে জটিলতা থাকলেও আদালতের নির্দেশে গতকাল তারা ভোটাধিকার ফেরত পেয়েছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কয়েকটি বিভাগে নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল ১৫৬ জনের। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, এই ১৫৬ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১১৫ জন। অর্থাৎ ৭৩.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা-বিভাগ কোটায় নির্বাচিত ১০ জন হলেন-
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আহসান ইকবাল চৌধুরি, আসিফ আকবর।
খুলনা বিভাগ- আব্দুর রাজ্জাক রাজ, জুলফিকার আলি খান।
ঢাকা বিভাগ- নাজমুল আবেদিন ফাহিম, আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বরিশাল বিভাগ- সাখাওয়াত হোসেন।
সিলেট বিভাগ- রাহাত শামস।
রাজশাহী- মোখলেসুর রহমান।
রংপুর- হাসানুজ্জামান।
ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ঢাকার ক্লাব কোটায় নির্বাচিত ১২ প্রার্থী হলেন-
ইশতিয়াক সাদেক, শানিয়ান তানিম, মেহরাব আলম চৌধুরী, ফারুক আহমেদ, আমজাদ হোসেন, মোকসেদুল কামাল, মঞ্জুরুল আলম, আদনান রহমান দিপন, আবুল বাশার শিপলু, ইফতিখার রহমান মিঠু, ফয়জুর রহমান ও নাজমুল ইসলাম।
ক্যাটাগরি-৩ অর্থাৎ সাবেক ক্রিকেটার এবং বিভিন্ন সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোটা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত হয়েছেন দুজন। তার হলেন- এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
এম.কে
০৬ অক্টোবর ২০২৫