১৯ জুলাই প্রকাশিত এক বিবৃতিতে, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান ঘোষণা করেন, যুক্তরাজ্য বিভিন্ন দেশের সাথে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ চুক্তি বাতিল করেছে এবং পরবর্তীতে সেইসব দেশের লোকেদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশের সময় ভিসার প্রয়োজনীয়তা আরোপ করতে যাচ্ছে।
বিশ্ব গণমাধ্যমেরখবরে জানা যায়, গত মাসে কানাডা ১৩ টি দেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের ব্যবস্থা করেছে, অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ভিসা মুক্ত ভ্রমণের ব্যবস্থা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে বিপুল সংখ্যক দেশ যুক্তরাজ্যের সাথে ভিসা মুক্ত ভ্রমণের ব্যবস্থা উপভোগ করে যাচ্ছে। সেইসব দেশগুলির জনসাধারণকে বাণিজ্য ও পর্যটনে উৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশগুলির মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ভিসা-মুক্ত ব্যবস্থা ব্যবহার করে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্য সাধারণত ভ্রমণ এবং পর্যটন উদ্দেশ্যে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ ব্যবস্থায় দেশগুলির পাসপোর্টধারীদের ৬ মাসের জন্য প্রবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্য নতুন নিয়মের আওতায় ডোমিনিকা, হন্ডুরাস, নামিবিয়া, টিমোর-লেস্টে এবং ভানুয়াতুর পাসপোর্টধারীদের ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা বাতিল করল। এখন হতে এই দেশগুলির পাসপোর্টধারীদের যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের আগে ভিজিটর ভিসা নিতে হবে।
এই দেশগুলির পাসপোর্ট ধারণকারী নাগরিকদের অন্য দেশে ভ্রমণ বুকিং দিয়ে যুক্তরাজ্যের মাধ্যমে ট্রানজিট করার ইচ্ছা থাকলে এয়ারসাইড ট্রানজিট ভিসা গ্রহণ করতে হবে।
যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন,
যুক্তরাজ্য সম্প্রতি অভিবাসন বিষয়ে বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা নিয়েছে যা দেখে মনে হয় তারা সীমান্ত নিয়ে কঠিন কড়াকড়ি আরোপ করতে চায়। বর্তমান কনজারভেটিভ সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে বলেও তারা ধারনা করেন। যুক্তরাজ্য ইংলিশ চ্যানেল এবং অন্যান্য অবৈধ রুটের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে আগমন নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তারা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারীদের রুয়ান্ডার মতো তৃতীয় দেশেও স্থানান্তর করতে চায়।
এম.কে
২১ জুলাই ২০২৩