সায়েদ আহমেদ আলওয়াদাই একজন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এবং অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর। তিনি বাহরাইনের সরকার কর্তৃক নানা নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে ইউকেতে এসেছিলেন ২০১২ সালে। ইউকেতে এসাইলাম আবেদন করে পরবর্তীতে তিনি আশ্রয় লাভও করেছিলেন।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব জেমস ক্লিভারলি, গ্যাটউইক এয়ারপোর্টে সায়েদ আহমেদকে ইউকেতে প্রবেশের সময় আটকানোর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ইউকে বর্ডার ফোর্সের কর্মকর্তারা সায়েদকে সুইজারল্যান্ড হতে জাতিসংঘের একটি বৈঠক থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পথে অবৈধভাবে গ্যাটউইক বিমানবন্দরে আটক করেছিল বলে খবরে জানা যায়।
জেনেভা থেকে ফেরার পথে গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের বর্ডার ফোর্স সায়েদ আহমেদকে থামিয়ে দিয়েছিল। জাতিসংঘে তিনি বাহরাইনের রাজনৈতিক বন্দীদের নির্যাতনের বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে অবহিত করতে মিটিংয়ে যোগ দিতে গিয়েছিলেন।
তথ্যমতে জানা যায়, গ্যাটউইকে সায়েদ আহমেদকে আড়াই ঘন্টা আটক রাখা হয়েছিল। তাছাড়া তাকে কেন থামানো হয়েছিল সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা দিতে বর্ডার ফোর্স অপারগতা প্রকাশ করে ।
সায়েদ আহমেদের আইনজীবী বিমানবন্দরে বেআইনী আটক করার জন্য স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে আইনী চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। যা ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং স্বরাষ্ট্রসচিব জেমস ক্লিভারলির লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়।
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, ” বর্ডার ফোর্সের প্রথম অগ্রাধিকার হ’ল আমাদের সীমানা সুরক্ষিত রাখা এবং আমরা কখনই এ নিয়ে আপস করব না। অফিসাররা যে কোনো যুক্তরাজ্য আগত যাত্রীকে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে থামাতে পারেন। যেখানে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সন্তুষ্ট না হন সেখানে ডিটেনশন দেয়া হয়ে থাকে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।
উল্লেখ্য সায়েদ আহমেদের আইনজীবী জানান কোনো কারণ ছাড়াই ইউকে বিমানবন্দরে তার ক্লায়েন্টকে বিভিন্ন সময়ে কমপক্ষে আটবার থামানো হয়। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের অবশ্যই আইন মেনে চলা উচিত। কাউকে অন্যায়ভাবে আটক কখনও ঠিক নয় বিশেষত যারা মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করেন।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪